ময়মনসিংহে প্রেমিকের মাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা: প্রেমিকার চাচা-চাচী গ্রেফতার

ময়মনসিংহে প্রেমের টানে পালিয়ে বেড়ানো মেয়ের স্বজনদের আগুনে পুড়ে ছেলের মা লাইলী আক্তাররের (৩৮) মৃত্যুর ঘটনায় প্রেমিকার চাচা-চাচীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া পূর্বপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী আছমা আক্তার।

গ্রেফতারের পর বুধবার (২৯জুন) আদালেত তোলা হলে আসামিদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। তবে এঘটনায় জড়িত অন্য ৬ আসামিকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ জানায়, নগরীর চর ঈশ্বরদিয়া পূর্বপাড়ার আবদুর রশিদ বাসের হেল্পার হিসেবে কাজ করেন। তার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২০) এসএসসি পাস করার পর একটি পার্টসের দোকানে কাজ করেন।

এদিকে প্রতিবেশী উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় সিরাজুলের। এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কের কারণে ১৯ জুন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান সিরাজুল ও তার প্রেমিকা। প্রেমিকাকে নিয়ে ছেলে পলাতক থাকায় মঙ্গলবার প্রেমিক সিরাজুলের বাড়িতে গিয়ে সিরাজুলের মা লাইলী আক্তারের হাত-পা বেঁধে শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে লাইলী আক্তারের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যান প্রেমিকার মা ও দুই চাচী। এদিকে লাইলীকে দ্রুত উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেয়া হলে সেখান থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করা হয়। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লাইলী আক্তার।

এ ঘটনায় লাইলী আক্তারের স্বামী আবদুর রশিদ বাদী হয়ে তিন নারী, ওই ছাত্রীর বাবা, তার ভাই কামাল মিয়া, জাহাঙ্গীর আলমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ জানান, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Share this post

scroll to top