ময়মনসিংহে পরিবেশ অধিদফতরের অভিযান পরিচালনায় ম্যাজিস্ট্রেট নেই

ময়মনসিংহ লাইভ ডেস্ক : বিভাগীয় পর্যায়ে পরিবেশ অধিদফতরের অভিযানগুলো পরিচালনার জন্য সম্প্রতি হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেও ময়মনসিংহের জন্য এখনও নিয়োগ দেওয়া হয়নি ম্যাজিস্ট্রেট। এই সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন আরও ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ার জন্য। এরমধ্যে তিন জনের নিয়োগ হয়েছে। এরফলে ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা দাঁড়িয়ে ছয় জনে। তবে, এরমধ্যে ঢাকার জন্য মাত্র দুই পোস্ট, বাকিগুলো বিভাগীয় পর্যায়ের জন্য। ইতোমধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুরের জন্য। ময়মনসিংহের জন্য এখনও দেওয়া হয়নি।

পরিবেশ অধিদফতর সূত্র জানায়, বর্তমানে পরিবেশ অধিদফতরের অভিযানগুলো পরিচালনার জন্য মাত্র তিন জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছেন। এরমধ্যে দুই জন প্রায় সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করেন। অন্য একজন শুধু চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য। চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আপাতত মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন। ফলে সারাদেশে এখন মাত্র দুই জন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে বায়ুদূষণ, শব্দদূষণসহ সব ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেট দুজন হলেন মাকসুদুল ইসলাম ও কাজী তামজিদ আহমেদ।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, পরিবেশ অধিদফতরকে অনেক ধরনের অভিযান চালাতে হয়। কিছু বিষয়ে উচ্চ আদালত সময় বেঁধে কাজ করার নির্দেশ দেন। ফলে চাইলেও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এই ঘোষণা বাস্তবায়নে টানা অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি শব্দ দূষণের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।এরপর আর কিছু হয়নি।

লোকবলের বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পরিবেশ অধিদফতরের এখন অনেক অনেক কাজ। এসব কাজের জন্য দুই হাজারের মতো জনবল দরকার। কিন্তু সারাদেশে কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে আছে ৬০০। চলতি অর্থবছরের মধ্যে আরও কিছু জনবল নিয়োগ হবে কিন্তু সেটি দিয়েও কাজ করা  কঠিন হবে। তাই আমরা জনবল বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে যাচ্ছি। শিগগিরই পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জনপ্রশাসন বিভাগের কাছে আমরা জনবল বাড়ানোর বিষয়ে প্রস্তাব পাঠাবো।’ তিনি বলেন, ‘পলিথিনের বিরুদ্ধে, কালো ধোঁয়ার বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি আমরা। একইসঙ্গে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধেও।’ বুধবারও গাজীপুরে অভিযান চালানো হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

Share this post

scroll to top