ময়মনসিংহে নির্বাচনোত্তর জাতীয় সরকার ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত

বিএনপি মিডিয়া সেল আয়োজিত ‘জবাবদিহি মূলক রাষ্ট্র গঠনে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনোত্তর জাতীয় সরকার ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ অপরিহার্য’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক জহির উদ্দিন স্বপন। মিডিয়া সেলের সদস্য ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিনা ভোটের সরকার দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে গুম-খুন আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় টিকে রয়েছে। সরকার রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থাসহ সকল সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে ফ্যাসিবাদ শাসন ব্যবস্থা চলমান রেখেছে। আ’লীগ সরকার দেশকে লুটপাট ও দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। গত এক যুগে অবৈধভাবে বিদেশে ১০ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূলমন্ত্র গণতন্ত্র, সাম্য, মানবাধিকার আর সামাজিক সুবিচার আজ ভ‚লুন্ঠিত। দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হারিয়ে নিজ দেশেই যেন পরাধীন। তাই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রকাশ্যে অন্য দেশের করুনা ভিক্ষা করে। শুধু তাই নয় সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গণতন্ত্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে ও জণগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জনপ্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় ঐক্য অতীব জরুরি বলে মনে করে বিএনপি। এই জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমেই পার্লামেন্টারি কাঠামোতে পরিবর্তন এনে তারেক রহমান ঘোষিত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন করতে চায় বিএনপি। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার রাজনীতি সচেতন মেধাবী মানুষগুলোর চিন্তা ও কর্ম যাতে রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগে তা নিশ্চিত করতে বিএনপি ‘দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট’ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সভায় সাংবিধানিক সংস্কার, প্রশাসনিক সংস্কারের লক্ষ্যে সংস্কার কমিশন গঠন, ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার’ ব্যবস্থা স্থায়ীভাবে প্রবর্তন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার লক্ষ্যে মিডিয়া কমিশন গঠনসহ ১৮টি প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করা হয়।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মোশাররফ হোসেন মিয়া, ব্যারিষ্টার মীর হেলাল উদ্দিন, প্রফেসর মোর্শেদ হাসান খান, সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার, এডভোকেট আব্দুল বারী, এডভোকেট বাধন কুমার গোস্বামী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, প্রফেসার এএসএম গোলাম হাফিজ কেনেডি, প্রফেসার ডা. একেএম মুসা শাহিন, সাংবাদিক সুপ্রিয় ধর বাচ্চু, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর একেএম ফজলুল হক ভূঞা, ড. মোহাম্মদ আবুল হাসেম., ডা. সায়েম মনোয়ার, প্রফেসর ড. সাদেকা হক শম্পা, প্রফেসর ড. জি কে মোস্তাফিজুর রহমান, এডভোকেট নূরুল হক, এডভোকেট এফ আই এম মঞ্জুরুল হক বাচ্চু, গণফোরামের এডভোকেট রায়হান উদ্দিন, সুনিল বর্মণ। এছাড়াও সভায় ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন। ##

Share this post

scroll to top