ময়মনসিংহে নমুনা পরীক্ষা : করোনায় আরেকজনের মৃত্যু

শামসুল হকময়মনসিংহে দেয়া নমুনায় কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়ে শামসুল হক (৬৬) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ছোট ছেলে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক। বুধবার (১০ জুন) রাতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শামসুল হকের স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত বলে জানা গেছে। নিহতের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা গ্রামে। তিনি স্থানীয় বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠাতা ও স্থানীয় বায়তুল আমিন জামে মসজিদের সভাপতি। তার বড় ছেলে স্থানীয় একটি রফতানিমুখী পোশাক কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মেজো ছেলে মালয়েশিয়ার জাহাজ কোম্পানির মেরিন অফিসার ও ছোট ছেলে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক।

শামসুল হকের বড় ছেলে জাহিদুল ইসলাম সুমন জানান, গত ২৭ মে প্রথম তার বাবার করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। পরদিন বাবা-মাকে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে নমুনা দেন। ভালুকায় দেয়া স্যাম্পলেই তার বাবা-মায়ের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। মঙ্গলবার (৯ মে) দিবাগত রাতে শামসুল হকের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বুধবার (১০ জুন) বিকেলে তাকে চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকাল ৯টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজা শেষে উপজেলার মাওনা গ্রামের নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম জানান, ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেয়ার পর করোনা পজিটিভ আসায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনায় তাকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন পরিবারের সদস্যরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর সরকারি বিধি মেনে মরদেহ দাফনের জন্য সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়। পরে স্বাস্থ্যকর্মীরাই তার দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

Share this post

scroll to top