ময়মনসিংহে এক বছরে পানিতে ডুবে ৮৮ জনের মৃত্যু

water child pani২০২০ সালে ময়মনসিংহে পানিতে ডুবে  ৮৮জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ৪২৫টি পৃথক ঘটনায় সারাদেশে ৭৬৯ জনের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮২ শতাংশই ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু। পরিবারের সদস্যদের অসতর্কতার কারণে বেশিরভাগ মৃত্যু ঘটছে বলে জানিয়েছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘সমষ্টি’।

‘সমষ্টি’ এর পরিচালিত জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের গণমাধ্যমে প্রকাশিত পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংবাদ বিশ্লেষণ থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, মোট মৃত্যুর ৭৬৯ জনের মধ্যে চার বছর বা তারও কম বয়সের রয়েছে ২৪৮ জন শিশু, পাঁচ থেকে ৯ বছর বয়সী ২৫৮ জন, ৯ থেকে ১৪ বছরের ৯৯ জন এবং ১৫ থেকে ১৮ বছরের ২৮ জন।

এ বছর পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটনা ঘটে ঢাকা বিভাগে, ১৮৪ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ১৪৫ জন, রংপুরে ১১৩, রাজশাহীতে ১০০, ময়মনসিংহে ৮৮, বরিশালে ৫১ ও খুলনা বিভাগে ৪৭ জন মারা যায়। সবচেয়ে কম মৃত্যু ছিল সিলেট বিভাগে, ৪১ জন। নেত্রকোনা জেলায় ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়, ৪৮ জন। এদিকে বান্দরবান, শরীয়তপুর, খুলনা ও নড়াইলে পানিতে ডুবে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে নৌযান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১১৬ জনের। পানিতে ডুবে মৃতদের মধ্যে ১৭ জন বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালের বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর ৪৩ শতাংশই পানিতে ডুবে মৃত্যু। যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব হেল্থ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই) এর ২০১৭ সালে প্রকাশিত গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডি শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ২০১৭ সালে ১৪ হাজার ২৯ জন মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। এই রিপোর্ট অনুযায়ী পানিতে ডুবে মৃত্যুর দিক থেকে কমনওয়েলথ দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে পানিতে ডুবে মৃত্যু নিয়ে কোনও তথ্য ব্যবস্থা না থাকায় এর প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না বলে জানায় ‘সমষ্টি’।

Share this post

scroll to top