ময়মনসিংহে অপহৃত কলেজ ছাত্রীকে দীর্ঘ দিন পর উদ্ধার করলো পিবিআই

PBI Mymensinghময়মনসিংহে অপহৃত হওয়া এক কলেজ ছাত্রীকে দীর্ঘ দিন পর উদ্ধার করছে ময়মনসিংহ জেলার পিবিআই।

জানাযায়, নান্দাইল থানার মামলা নং-২৩, তাং-২৪/০৭/২০১৮ খ্রিঃ, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৭/৩০ এর
অপহৃত ভিকটিম নাসরিন সুলতানা (২১) কলেজে যাওয়ার পথে অপহরণ হন।

মামলা সূতে জানাযায়,  মামলার ভিকটিম নাসরিন সুলতানা (২১), পিতা-মোঃ আবদুল আউয়াল, সাং-পুরহরি, থানা-নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজে স্নাতক ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিল। ভিকটিম নাসরিন সুলতানা নান্দাইল শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজে পড়াকালীন আসামী আল আমিন (২৩) প্রায়শই ভিকটিমকে ইভটিজিং করার কারনে গত ০৭/১১/২০১৬ খ্রিঃ ভ্রাম্যমান আদালতের দেয়া ৪০ (চল্লিশ) দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করে। এরপর হতেই আসামী আল আমিন ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ভিকটিম ও তার পরিবারের ক্ষতি করার হীনমানষে সযোগ খুজতে থাকে। আসামীর পিতা পুলিশের কাছে ভিকটিমের পিতা অত্র মামলার বাদী আবদুল আউয়ালকে জেএমটি বলে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করে এবং সংবাদ সম্মেলন ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে মানহানি করায় বাদী আবদুল আউয়াল আসামীদের বিরুদ্ধে মানহানী মামলা করে। যা এখনো চলমান আছে। আসামীরা উক্ত আক্রোশে গত ১৯/০২/১৮ খ্রিঃ সকাল ০৮.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম নাসরিন সুলতানা কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার পথে বাটুয়ারাপাড়ার উত্তর দিকে আচারগাঁও ফাজিল মাদরাসার দক্ষিণ পাশে ফাঁকা জায়গায় পৌছামাত্র সকল আসামীগণ দা, কিরিচ, ডেগার/ছুরি ও অন্যান্য মারাত্মক অস্ত্রসহ মাইক্রোবাস নিয়ে ভিকটিমের পথরোধ করে দাঁড়ায় এবং অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক ভিকটিমকে অপহরণ করে। তৎপ্রেক্ষিতে বাদী থানায় উক্ত মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ মামলা তদন্ত শেষে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ তার জবানবন্দি নাঃশিঃ ২২ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে লিপিবদ্ধ না করে চূড়ান্ত রিপোর্ট তথ্যগত ভুল দাখিল করায় বাদী নারাজী প্রদান করেন। তৎপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে গত ০১/০৪/২০১৯ খ্রিঃ পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলা মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। সকল আসামীরা জামিনে মুক্ত থাকায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পিবিআই, ময়মনসিং জেলা মামলা তদন্তকালে দীর্ঘ দিন পর অদ্য ০৮/০৮/২০২০ খ্রিঃ সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় অত্র মামলার ভিকটিম নাসরিত সুলতানা (২১) কে ত্রিশাল থানা এলাকা হতে উদ্ধার করে নাঃ শিঃ ২২ ধারায় ভিকটিমের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করানোর জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

Share this post

scroll to top