ময়মনসিংহে অপহরণের শিকার ২ কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পিবিআই

PBI MYmensinghময়মনসিংহে অপহরণের শিকার হওয়া ২ কিশোরীকে উদ্ধার করেছে ময়মনসিংহের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

জানাযায়, ময়মনসিংহ ত্রিশাল থানার বৈলর বাঁশকুড়ি গ্রামের নজরুল একাডেমীতে ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া জান্নাতুল ফেরদৌস লামিয়া (১৪) মোবাইল ফোনে রং নম্বরে জুয়েল নামের এক প্রেমিকের সাথে পরিচয় ঘটে। বিয়ের আশ্বাসে জুয়েল প্রেমের চলনা করে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের মামলা করার কথা শুনে বিবাদী জুয়েল ভিকটিম লামিয়াকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। এদিকে লামিয়া জানতে পারে জুয়েল বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। তখন লামিয়া বিবাদী জুয়েলকে বিবাহ করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং কোতোয়ালী থানার মামলা নং-৩৪(১০)২০২০, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৯(১) এ মামলা দায়ের করেন। এতে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং মামলা করার ০২ দিন পর গত ১৫/১০/২০২০ খ্রিঃ রাতের বেলায় বিবাদী জুয়েল ও পলাশ ভিকটিম লামিয়ার বাড়ীতে এসে লামিয়াকে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যায় এবং ভিকটিম লামিয়ার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বিবাহ করে। পরে ভিকটিমের বাবা মোঃ হুমায়ন কবির বাদী হয়ে আদালতে ত্রিশাল থানার সিআর মামলা নং-১৪১/২০২০, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৭/৩০ এ দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে গত ২৩ নভেম্বর পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলায় মামলাটি গৃহীত হয় এবং মামলার তদন্তভার এসআই (নিঃ) মোঃ সুমন মাহমুদ এর উপর অর্পণ করা হয়। পুলিশ সুপার জনাব গৌতম কুমার বিশ্বাস এর দিক নির্দেশনায় ও তত্ত্বাবধানে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমের অবস্থান শনাক্ত পূর্বক গত ১২ ডিসেম্বর  ত্রিশাল থানার বরমা বাজার এলাকায় বিবাদী জুয়েলের খালু নুরু মৌলানার বাড়ী হতে ভিকটিম লামিয়াকে উদ্ধার করেন।

এদিকে ঈশ্বরগঞ্জের হাসের আলগী গ্রাম থেকে অপহরণের শিকার আবু আক্তার খান একাডেমীতে ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মাইমুনা বিল্লা সৌরভীকে (১৩) উদ্ধার করেছে ময়মনসিংহের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মামলা সূত্রে জানাযায়, একই এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে সামাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে মাইমুনা বিল্লা সৌরভীর। সৌরভীর পিতা শফিকুল ইসলাম তার মেয়ের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে বিবাদী সামাদের সাথে মিশতে নিষেধ করেন। পরিবারের বাধার মুখে সামাদ ও সৌরভী পালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সিন্ধান্ত মোতাবেক সৌরভী ও সামাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলে সৌরভীর পিতা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে ফুলবাড়ীয়া থানার সিআর মামলা নং-১৩৬/২০২০, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৭/৩০ এ মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তের ভার পিবিআই এর এসআই (নিঃ) মোঃ সুমন মাহমুদ এর উপর অর্পণ করা হয়। পুলিশ সুপার জনাব গৌতম কুমার বিশ্বাস এর দিক নির্দেশনায় ও তত্ত্বাবধানে তদন্তকারী কর্মকর্তা আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমের অবস্থান শনাক্ত পূর্বক গত ১০/১২/২০২০ খ্রিঃ ভিকটিমকে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থানাধীন মেরনবাজার এলাকার বিবাদী সামাদের ফুফা হাবুল্লার বাড়ী হতে ভিকটিম সৌরভীকে উদ্ধার করেন।

Share this post

scroll to top