ময়মনসিংহের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি

Bidduth-PDB-Mymensinghময়মনসিংহের কেওয়াটখালী পাওয়ার গ্রিডে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুই দফায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। গত তিনদিন ধরে ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা ও শেরপুর জেলার বাসিন্দারা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় চরম ভোগান্তির শিকার হন। ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎবিহীন থাকছে গোটা জেলা। এসব এলাকার শিল্প-কারখানায় উৎপাদনও ব্যাহত হয়।

দুর্ঘটনার পর থেকে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে গ্রাহকদেরকে ধৈর্য্য ধারণ করার আহবান নগরীতে মাইকিং করা হচ্ছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দোকানপাট, বিপণি বিতান ও অফিস আদালত বন্ধ থাকায় নগরীর রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা ছিল। বিদ্যুৎ চালিত ইজিবাইক ও অটো রিকসায় চার্জ দিতে না পারায় বেশির ভাগই রাস্তায় বের হতে পারিনি। এ সুযোগে চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছেন বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। রিকসা বা ইজিবাইকের অভাবে অনেকেই পায়ে হেটেই গন্তব্যে পৌছান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে কেওয়াটখালি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিডে শটসার্কিট থেকে মার্সেল বক্স হয়ে ট্রান্সফরমার আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর বৃহষ্পতিবার সকাল দশটার দিকে আরেকটি ট্রান্সফরমার আগুনে পুড়ে যায়। শুক্রবার বিকেল পাঁটায় এ রিপোর্ট লেখার সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল হক জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে। অগ্নিকান্ডের পর সঞ্চালন লাইন বন্ধ রেখে ইনসুলেটর পরিষ্কার করার কাজও চলছে। সিস্টেম রিইনস্টল করা হচ্ছে যাতে দ্রুত বিদ্যুত সরবরাহ চালু করা সম্ভব হয়। আপাতত; তিনটি ট্রান্সফরমারের মধ্যে একটি ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে রেশনিং করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। শুক্রবার রাতের মধ্যে আরো একটি ট্রান্সফরমার চালু করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

ময়মনসিংহ অঞ্চলের cর প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, অগ্নিকান্ডের কারণে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এখন রেশনিং করে বিদ্যুত সরবরাহ করা হলেও দ্রæত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। অগ্নিকান্ডে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে। জেলা প্রশাসন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি কাজ করছে বলেও জানান তিনি। ##

Share this post

scroll to top