ময়মনসিংহের কারাগারগুলোতে বন্দি আছেন ১০ বিদেশি

ময়মনসিংহ লাইভ ডেস্ক : প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ময়মনসিংহ বিভাগের কারাগারগুলোতে ১০ জন বিদেশী হাজতি হিসেবে বন্দি রয়েছেন। এছাড়া ময়মনসিংহসহ দেশের কারাগারগুলোতে বিভিন্ন দেশের ৬৭৯ জন নাগরিক বন্দি আছেন। এদের মধ্যে ৬৫ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি হিসেবে বিভিন্ন কারাগারে রয়েছেন। ৫৩২ জন কারাভোগ করছেন বিভিন্ন বিচারাধীন মামলায়। ৮২ জনের সাজা শেষ হয়ে গেলেও তারা রিলিজ প্রিজনার (আরপি) হিসেবে কারাভোগ করছেন। সংশ্লিষ্ট দেশ দায়িত্ব না নেওয়ায় কিংবা তাদের কোনও স্বজন না আসায়, তারা রিলিজ প্রিজনার হিসেবে কারাগারেই রয়েছেন। কারণ, তাদের কাছে বাংলাদেশে থাকার বৈধ কোনও কাগজপত্রও নেই।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা অধিদফতর সূত্র জানায়, আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ বাংলাদেশে আসেন ভাগ্য বদলানোর জন্য। কেউ ট্যুরিস্ট ভিসা, কেউ স্টুডেন্ট ভিসা, আবার কেউ বিজনেস ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে চান না তারা। আবার অনেকেই অপরাধীচক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ব্যবসার ফাঁদ, বিদেশ নিয়ে যাওয়া কিংবা লটারি জেতার ফাঁদ ছাড়াও এটিএম জালিয়াতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তারা। এছাড়া, নানা অভিযোগে মামলা হয় তাদের বিরুদ্ধে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কারা অধিদফতরের ঢাকা বিভাগের কারাগারগুলোতে বিদেশি হাজতি বন্দি রয়েছেন তিন নারীসহ ৫৮ জন। কয়েদি আছেন তিন নারীসহ ২৩ জন। রিলিজ প্রিজনার (আরপি) রয়েছেন ৫ জন। চট্টগ্রাম বিভাগের কারাগারগুলোতে সবচেয়ে বেশি বিদেশি বন্দি রয়েছেন। সেসব কারাগারে ১৩ নারীসহ ২৯৪ জন হাজতি বন্দি রয়েছেন। কয়েদি বন্দি রয়েছেন ৩২ জন পুরুষ। খুলনা বিভাগের কারাগারগুলোতে দুই নারীসহ ১৩২ জন হাজতি বন্দি ও তিনজন কয়েদি রয়েছেন। এছাড়া, সিলেট বিভাগের কারাগারগুলোতে হাজতি ও কয়েদি ৮ জন, রাজশাহী বিভাগের কারাগারগুলোতে হাজতি ও কয়েদি ২০ জন, রংপুর বিভাগের কারাগারগুলোতে হাজতি ও কয়েদি ১০ জন, বরিশাল বিভাগের কারাগারগুলোতে ৭ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের কারাগারগুলোতে ১০ জন হাজতি বন্দি রয়েছেন।

বুধবারের (১২ ফেব্রুয়ারি) তথ্য অনুযায়ী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দু’জন ভারতীয়, একজন নেপালি, একজন পাকিস্তানি, একজন আমেরিকান এবং একজন স্প্যানিশ বন্দি আছেন। অন্যান্য কারাগারে ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান ও আফ্রিকা অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা রয়েছেন। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারাও হত্যা ও মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে আসামি ও দণ্ডিত হয়ে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা কারাভোগ করছেন। আবার অনেকের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট দেশগুলো দায়িত্ব না নেওয়ায় এবং নিজ নিজ দেশ থেকে তাদের কেউ নিতে না আসায়, তারা কারাগারেই আছেন।’

Share this post

scroll to top