ময়মনসিংহসহ ২৮ জেলায় বক্তাদের নজরদারির পরামর্শ

Waz-Mahfilশীত মৌসুমে ওয়াজ মাহফিলে কোথায় কোন বক্তা যাচ্ছেন তা নজরদারি করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে। মধ্য ডিসেম্বরে এই প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটি জমা দেয়ার পর সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ওয়াজের জন্য ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, পঞ্চগড়, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, সিলেট, নাটোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, ঝিনাইদহ, বাগেরহাটসহ২৮টি জেলায় মাহফিল বেশি হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়

নির্দেশনা অনুযায়ী জেলায় জেলায় অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিলে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজরদারি শুরু করেছে। বিশেষ করে যেসব বক্তা কৌশলে রাজনৈতিক বক্তব্য দেন বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার মতো উস্কানি দেন তাদের বিষয়ে মূলত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক। এমন বক্তাদের মাহফিলে উপস্থিতি আগে থেকে আটকে দেয়া হচ্ছে।

মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের মাহফিলের বক্তা কারা, তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি-না বা এর আগে কোনো জেলায় বক্তব্য দিতে গিয়ে ওই এলাকায় হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে কি-না তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাহফিল হওয়ার আগেই খতিয়ে দেখছে। এ ছাড়াও বিতর্কিত বক্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউবে আপলোড হওয়া বক্তব্যগুলোও নজরদারি করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর করণীয় ও সুপারিশে বলা হয়েছে, যেসব জেলার এলাকাগুলোতে মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে সেসব এলাকার মাহফিলগুলোতে পুলিশসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের মাহফিলের বক্তা কারা, তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি-না বা এর আগে কোনো জেলায় বক্তব্য দিতে গিয়ে ওই এলাকায় হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে কি-না তা কঠোরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে।

সুপারিশে আরো বলা হয়েছে, এসব তথ্যের সত্যতা থাকলে সঙ্গে সঙ্গে মাহফিল করতে নিষেধ করতে হবে মাহফিল কমিটিকে। যদি মাহফিলে কোনো জনপ্রতিনিধি উপস্থিত থাকার কথা থাকে তাহলে তাকে না আসার জন্য অবহিত করতে হবে। যদি মাহফিল কমিটি মাহফিল বন্ধ করতে রাজি না হয় তাহলে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের মাধ্যমে তা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে হবে।

Share this post

scroll to top