মোবাইলে কথা বলতে বারণ করায় গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ

বগুড়ার শিবগঞ্জে মোবাইলে কথা বলতে বারণ করায় এক সন্তানের জননী মৌসুমী আক্তার (১৯) এক গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার কিচক ইউনিয়নের ছাতিয়ান পাড়া গ্রামে।

স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছেলে মোরশেদুল ইসলাম পাশের আটমুল ফেনীগ্রামের মো. মোকারম হোসেনের মেয়ে মোছা. মৌসুমী আক্তারকে বিগত ৩/৪ বছর আগে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে কিছুদিন ভালোই চলে। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে। সম্প্রতি মোবাইলে কথা বলা নিয়ে মোরশেদুল স্ত্রীকে সন্দেহ করতে থাকে। তৈরী হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিরোধ।

এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ-বিবাদ লেগেই থাকতো। বুধবার রাতে ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে মোরশেদুল স্ত্রীকে মারধর করলে মৌসুমী রাগে ক্ষোভে বিষ পান করলে হাসপাতালের নেয়ার পথে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সে মারা যায়।

ঘটনারপর শিবগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আলী ও কিচক ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরী ঘটনাস্থলে যান। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়া মর্গে প্রেরণ করেন। মৌসুমীর বাবা মোকারম হোসেন, জানান কি কারনে তার মেয়ে বিষ খেয়েছে তাদের জানা নেই। এই ঘটনারপর স্বামী মোরশেদুলসহ স্বজনরা গা-ঢাকা দিয়েছে।

 

আরো পড়ুন 

ভাইকে ফেসবুকে আনফ্রেন্ড করার জন্য বোনকে গুলি করে খুন!

দুই ভাই বোন। একে অপরের ‘বন্ধু’ ছিলেন ফেসবুকে। কিন্তু কিছুদিন আগে ভাইকে আনফ্রেন্ড করে দেন বোন। আর সেই ‘অপরাধে’ বোনকে গুলি করে খুন করলেন ভাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আলাস্কার অঙ্করেজের ঘটনা।

ঘটনাটি ঘটে থ্যাঙ্কস গিভিংস ডে-র দিন, ২৮ নভেম্বর। সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি এসেছিলেন আমান্ডা ওয়েন। এসেই দেখা হয়ে যায় ভাই মোসে টনি ক্রো-র সঙ্গে। সম্প্রতি মোসে-কে ফেসবুকে আনফ্রেন্ড করেন আমান্ডা। দু’জনের দেখা হতেই শুরু হয়ে যায় ফেসবুকে আনফ্রেন্ড করা নিয়ে বাক বিতণ্ডা।

ঝগড়া চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। অভিযোগ, এই সময় পকেট থেকে বন্দুক বের বোনকে গুলি করে দেন মোসে। সেই সময় আমান্ডার কোলে তার সন্তান ছিল।সন্তান কোলে নিয়েই মাটিতে পড়ে যান আমান্ডা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ মোসেকে গ্রেফতার করেছে।

মোসের পরিবার বা পরিচিতদের কয়েক জনের দাবি, গুলি ভুল করে চলে গেছে। মোসে তার পরিবারকে নাকি খুবই ভালোবাসত। আবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুকে আনফ্রেন্ড করার জন্যই মোসে গুলি চালিয়েছিলেন বলে পরিবারেরই এক সদস্য জানিয়েছেন।

আদালতে তোলা হয় মোসেকে। সেখানে তিনি দাবি করেন, বন্দুক পরিষ্কার করতে গিয়ে ভুল করে গুলি চলে গেছে। মোসেকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


Share this post

scroll to top