মেয়ের মৃত্যুতে মায়ের আত্মহত্যা

ভোলার চরফ্যাশনের দুলারহাট থানার আহাম্মদপুর ইউনিয়নে মেয়ে মারিয়ার (৮) মৃত্যুতে তার মা ফাহিমা বেগম (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ফাহিমা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানান তার স্বজনরা।

বুধবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাবার বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ওই গৃহবধূ একই গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধী শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেন জানান, তার স্বামী বাকপ্রতিবন্ধী শাহাবুদ্দিন পেশায় জেলে। ১২ বছর আগে একই গ্রামের শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে ফাহিমার পরিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ফাহিমা দুই সন্তনের জননী ছিলেন। গত মাসে তার ৮ বছরের শিশু কন্যা মারিয়া পানিতে পড়ে মারা যায়। শিশুকন্যার মৃত্যুর শোকে তিনি মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

নিহতের বাবা মাইনুদ্দিন মানসিক বিকারগ্রস্ত মেয়ে ফাহিমা এবং তার অপর ৬ বছরের শিশুকন্যা ফারজানাকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। বাবার বাড়িতে রেখেই তার চিকিৎসা চলছিল।

ঘটনার দিন দুপুরে তিনি পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন। শিশুকন্যার মৃত্যু শোকেই বিকারগ্রস্ত ফাহিমা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুলারহাট থানার ওসি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Share this post

scroll to top