মুজিববর্ষের উপহার: ময়মনসিংহে গৃহহীনদের ঘরে ফাঁটল!

মুজিববর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রকল্পের ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় ১ম পর্যায়ে নির্মিত ঘর নিয়ে নানা অভিযোগের পর এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ঘরগুলোতে ফাটঁল দেখা দিয়েছে। নিম্নমানের কাজের কারনে ঘরগুলো ফেটে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে এ উপজেলায় ভূমিহীনও গরীবদের জন্য ৭০ টি ঘর নির্মান করা হয় বলে জানা গেছে।

সরেজমিন উপজেলার বাকতা ইউনিয়নের কালনাজানী গিয়ে দেখা গেছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে সেখানে নির্মান করা হয়েছে ২৫ টি ঘর। এক বছর আগে ঘর নির্মান করা হলেও সাইফুল ইসলামের ঘরে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয় নাই। বিদ্যুৎ সংযোগ না দেয়ায় ঐ ঘরে কেউ বসবাস করেন না। আগে যে নলকুপগুলো স্থাপন করা হয়েছিল তা ছিল চাহিদার তুলনায় কম। পরে এলজিএসপির টাকায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৪ টি নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। নলকূপ স্থাপনের পর থেকে ৪ দিন পানি উঠলেও এখন একটিতেও আর পানি উঠে না। নলকূপগুলোর গোড়া পাকাকরণ করা হলেও নলকূপের গোড়াতে প্লাস্টিকের পাইপ ব্যবহার করায় খুব নড়বড়ে অবস্থা। এর মধ্যেই এক নলকূপের গোড়া ফেটে গেছে। অনেক ঘরের প্লাস্টার উঠে যাচ্ছে। সামনের বারান্দা ঘরের দেয়াল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। দেখা দিয়েছে ফাটল। বসবাসকারীরা হতাশ হয়ে বলেন, স্যার আমাদের ঘর ফাটবো ক্যা! আমাদের ঘর ফাটলে মাইন্নেসে কয় চির ধরছে। এক সপ্তাহ আগে ইউএনও স্যার এসে বলে গেছেন, যেখানে ফেটেছে সেখানে বালু সিমেন্ট দিয়ে তোমরা লেপ দিয়ে দিও!

মঞ্জুরুল জানান, আমি ৭/৮ মাস ধরে সরকারী অর্থে নির্মিত ঘরে বসবাস করছি। প্রথমে আমার ঘরের বারান্দায় ঘর থেকে আলাদা গতে গিয়ে দেয়ালে নিচে ফাটল দেখা দেয়। পরে ফাটল দেখা দেয় ঘরের সামনের তিন খুঁটির মধ্যে ২ খুঁটিতে। রান্না ঘরের দেয়াল পুরোটাই ফেটে গিয়ে মূল ঘর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রান্না ঘরের দেয়াল ও জানালা ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা গরীব মানুষ কার কাছে অভিযোগ করবো।

উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে প্রতি ঘর এক লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫০ টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘর প্রতি ঘর এক লাখ ৯০ হাজার টাকায় ৭০ টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা করে ৪৪ টি ঘর নির্মানাধীন রয়েছে।

ফুলবাড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদুল করিম জানান, আমরা ঘরগুলো পরিদর্শন করে সংস্কার করে দেব।

Share this post

scroll to top