মুজিববর্ষেই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

মুজিববর্ষেই সর্বস্তরে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৯ জুন) বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উপলক্ষে সোমবার (৮ জুন) এক বাণীতে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ‘মধ্যম আয়ের’ দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ’ দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

‘‘এসব রূপকল্পের বাস্তবায়নসহ জাতিসংঘ ঘোষিত ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০’ অর্জনেও আমরা বদ্ধপরিকর। মুজিববর্ষেই সর্বস্তরে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাই।’’

সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর খাদ্যবাহিত রোগে বিশ্বে প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষ মারা যায়, যার ৩০ শতাংশই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু।

শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য উৎপাদন এবং সরবরাহ ব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরে গুণগতভাবে নিশ্চিত করে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করা দূরহ ব্যাপার, যা বিচ্ছিন্নভাবে কারও পক্ষে একা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে পারস্পরিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এগিয়ে এসে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতার বিনিময় এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর ঘটিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উদযাপন দেশের খাদ্য শিল্পের মান ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং সামনের দিনগুলোতে সকলের জন্য নিরাপদ এবং গুণগতমানসম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দিবসটি পালিত হচ্ছে, যেখানে সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ পরিগ্রহ করেছে। করোনা সংক্রমণসহ সকল প্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সারা বিশ্বকে আজ একযোগে কাজ করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। এ মহামারি থেকে একে অপরকে রক্ষা করতে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে কর্মক্ষেত্র, বাসস্থান এবং বহিরাঙ্গণে সর্বত্রই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০২০ পালন করছে জেনে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আনন্দ প্রকাশ করেন এবং এ উপলক্ষে বিএবির সকল অংশীজন এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

একই সঙ্গে তিনি ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০২০’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Share this post

scroll to top