ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় একদিনে পৃথক ঘটনায় কুলছাত্রীসহ তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে এ সব ঘটনায় মুক্তাগাছা থানায় পৃথক মামলা হয়েছে।
বুধবার (২২ জুলাই) মুক্তাগাছা থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে এসব লাশগুলো উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুক্তাগাছা উপজেলার গোয়ারি গ্রামের গোলাপ হোসেনের মেয়ে ফাতেমা আক্তার (১৪) বুধবার (২২ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে টিনের ঘরের আঁড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করে। নিহত ফাতেমা আক্তার স্থানীয় একেএম মোশাররফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তবে আত্মহত্যার কারণ জানাতে পারেনি তার পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে বুধবার (২২ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে মুক্তাগাছা উপজেলার পশ্চিম পলশা গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে হেলাল উদ্দিন (৪৫) মুক্তাগাছা শহরের ত্রিমোহিনী নতুন বাজারের হাটে কোরবানির জন্য গরু কিনতে যায়। পরে বাজারের ভেতরে হঠাৎ মাটিতে লুটে পড়ে সে। এসময় তার মুখ ও নাক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
অপর দিকে বুধবার (২২ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে মুক্তাগাছা শহরের লক্ষীখোলা ঈদগাহ মাঠ এলাকায় গোলাম রব্বানী (৩৫) নামে এক ব্যক্তি দুপুরের খাবার খেয়ে ভাড়াটিয়া বাড়ির পাশে একটি গাছের নিচে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় হঠাৎ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। গোলাম রব্বানী ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর প্রধান কার্যালয়ে আনসার সদস্যের দায়িত্ব পালন করতেন।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস এ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আর বাকি দুই জনের মৃতদেহ তাদের পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বজনদের দিয়ে দেয়া হয়।’