মালিককে না পেয়ে শ্রমিকের উপর হামলা; খেয়ে না খেয়ে চলছে জয়নালের পরিবার

mymensingh Picময়মনসিংহের সদর উপজেলার আলালপুর গ্রামে মেসার্স আনিকা অটোরাইচ মিলে সন্ত্রাসী হামলায় আহত শ্রমিক জয়নাল আবেদীনের (৪৫) পরিবার ৮ দিন ধরে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির এমন অবস্থায় ভেঙ্গে পড়েছেন পুরো পরিবার। এঘটনায় আনিকা অটোরাইচ মিলের সত্তাধিকারী আনোয়ার হোসেন বাদী কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বাদী আনিকা অটোরাইচ মিলের সত্তাধিকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৩ জুন প্রতিবেশী জয়নাল মিয়া, আল-আমিন, জহিরুল ইসলাম, জাহিদ, সুরুজ আলী এবং আব্দুল বারেক দিনে-দুপুরে তার মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। তারা আমাকে না পেয়ে মিলে থাকা শ্রমিক জয়নাল আবেদীনকে ব্যাপক মারধর করে। এতে তার মাথা ও পিঠে প্রচন্ড আঘাত পায় এবং তিনটি দাঁতও ভেঙ্গে ফেলে। এরপর অফিস রুমে ঢুকে ডয়ারের তালা ভেঙ্গে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়।

পরে খবর পেয়ে আমরা শ্রমিক জয়নাল আবেদীনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে কয়েকদিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে। সে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় তার আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কষ্টে চলছে পরিবারটি। আমরা তার খোঁজ-খবর সহ আর্থিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

শ্রমিক জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনি দৈন্দদিন কাজ করে সংসার চালান। তাদের সংসারে পাঁচ সদস্য। তার উপার্জন দিয়েই সংসার চলে। মালিকের সাথে তাদের দ্বন্দ্বে এভাবে তাকে মার খেতে হবে সেটা কখনও ভাবেননি তিনি। হঠাৎ করে মিলে ঢুকে ৭/৮ জন ভাংচুর চালায়। মিল মালিক আনোয়ারকে না পেয়ে তাকে মারধর করে। কয়েকদিন ধরে বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকায় তার সংসার চলছে না সমস্যার মধ্য দিয়ে। দিনে কোন দিনেই তিন বেলা খাবার জোটেনা তাদের। মালিক কিছুটা সহযোগিতা করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানান জয়নাল। এমন অবস্থায় তিনি দোষীদের বিচার দাবি করেছেন।

আসামী পক্ষের স্বজনরা জানান, তাদের জমির উপর মিলের আবর্জনা ফেলায় এনিয়ে তাদের সাথে বাগবিতন্ডা হয়েছে। তবে কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পলাশ কুমার রায় বলেন, এঘটনায় পাঁচজনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। দুইজন আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেয়া হবে।

Share this post

scroll to top