মার্কিন সাহায্য প্রত্যাখ্যান ফিলিস্তিনের

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রত্যাখ্যানের পর অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজাতে সব রকমের সহায়তা বন্ধ করার কথা নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার মার্কিন একজন কর্মকর্তা জানান, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমরা এ ধরনের সহায়তা বন্ধ করেছি। এখন থেকে পশ্চিম তীর ও গাজায় ইউএসএইডের সব ধরনের সহায়তা বন্ধ থাকবে।

এর দ্বারা ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা সংস্থাকে দেয়া বার্ষিক ছয় কোটি ডলারের তহবিল স্থগিত হয়ে গেছে। পশ্চিম তীরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার জন্য এ অর্থ ব্যয় করা হতো, যা পরোক্ষভাবে ইসরাইলি সেনাদের সহায়তা করতো বলে ধারণা করা হয়।

গত বছর অ্যান্টি টেরোরিজম ক্ল্যারিফিকেশন অ্যাক্ট (এটিসিএ) নামের ওই আইনটি কংগ্রেসে পাস হয় এবং পরবর্তী সময়ে তাতে সই করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আইনটির অধীনেই ওই সহায়তা বন্ধ করে দেয়া হলো। এর মাধ্যমে যেসব রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে অর্থ সহায়তা নেয়, যুদ্ধে সহায়তা করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতে অভিযোগ দায়ের করা যেত।

গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা সায়েব এরেকাত বলেন, তারা মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ তহবিল বন্ধ করে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি কারো থেকে কোনো অর্থ নেয়ার দ্বারা মামলার মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে আমরা সে অর্থ নিতে চাই না। তবে সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িত থাকার যে অভিযোগ ইসরাইল করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।

এরেকাত বলেন, আমরা কিছুই চাই না। যুক্তরাষ্ট্র তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আমরা এ অঞ্চলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাবো। ফিলিস্তিনের তিনটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি সন্ত্রাসের সাথে জড়িত থাকার কোনো অভিযোগ আমরা পাই তাহলে নিজেরাই সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেই।

গত বছর ওয়াশিংটন ফিলিস্তিনকে দেয়া কয়েকশ কোটি ডলারের সহায়তা ফান্ড বন্ধ করে দেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অবকাঠামোসহ বিভিন্ন মানবিক প্রকল্পে সহায়তার এসব অর্থ ব্যয় হতো। একই সময় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তায় জাতিসঙ্ঘের সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএতেও সহায়তা প্রদান বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। অথচ ২০১৭ সালে তারা এ সংস্থায় ৩৬ কোটি ডলার সাহায্য প্রদান করেছিল। এছাড়া ফিলিস্তিনি ছাত্রদের জন্য মার্কিন সরকারের স্কলারশিপ স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র।

ধারণা করা হচ্ছে, ইসরাইলের সাথে কথিত শান্তি আলোচনা আবারো শুরু করার জন্য চাপের অংশ হিসেবে এসব পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top