মানিকগঞ্জে নদী ভাঙনে কয়েকশ’ স্থাপনা বিলীন

কয়েকদিনের নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে মানিকগঞ্জের কয়েকশ’ স্থাপনা। অন্তত ১৫টি স্থানে নদী ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে মানিকগঞ্জ সদর, দৌলতপুর, শিবালয়, হরিরামপুর ও ঘিওর উপজেলার পাঁচ শতাধিক বসতভিটা, আবাদি জমি, রাস্তাঘাট, মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁছ বারইল, বেংরই ও দক্ষিণ চ্যাইলা, সাটুরিয়া উপজেলার চরতিল্লী, ছনকা বরাইদ, বরাইদ, দৌলতপুর উপজেলার আমতলী, বাঁচামারা, চরকাটারি, শিবালয় উপজেলার নেহালপুর, আরুয়া-কুষ্টিয়া, আরিচা ঘাট, হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও ধুলসুরা ও ঘিওর উপজেলার শ্রীদামনগর বাজার,বালিয়াখোড়া ও কুস্তা এলাকা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত বুধবার (১ জুলাই) সকাল ৬ টার দিকে আরিচা যমুনা পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে করে অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। গত শনিবার (৪ জুলাই) এ পয়েন্টে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। রোববার থেকে যমুনার পানি কমতে শুরু করে। তবে পানির জোয়ার ভাটার কারণে বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ১৫টি স্থানে নদী ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

হরিরামপুর উপজেলার ধুলসুরা এলাকার বাতেন মিয়া বলেন, ‌‌নদীতে গত কয়েকদিনে এ এলাকার নদী পাড়ের সব বসতভিটা পদ্মায় চলে গেছে। যেভাবে ভাঙছে তাতে এ এলাকা আর থাকবেনা।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইন উদ্দিন জানান, নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুম শেষে এসব এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

Share this post

scroll to top