মসজিদে বিস্ফোরণ: মৃত্যুর পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেলো ময়মনসিংহের ফরিদ

মসজিদে বিস্ফোরণনারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার আসিয়ান ডাংগড়ি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ফরিদ (৫৫)। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌন ২টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)মো. ফরিদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৩ জনে। ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মো. ফরিদের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ফরিদ পেশায় শ্রমিক ছিলেন। তিনি স্ত্রী রিনা বেগম এবং দুই ছেলে দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে ফরিদ ছিলেন বড়।

স্ত্রী রীনা বলেন, তিনি ঘটনার আগের দিন বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের তল্লায় মেয়ে খাদিজার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। পর দিন শুক্রবার এশারের নামাজে ওই মসজিদে যান। পরে ঘটনার শিকার হন।

প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জের তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজের সময় ছয়টি এসি বিস্ফোরিত হয়। ফরজ নামাজের মোনাজাত শেষে অনেকে সুন্নাত ও অন্য নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের প্রায় সবাই দগ্ধ হন। এদের ৩৭ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। শুরু থেকেই সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।

এ পর্যন্ত মারা গেলেন ৩৩ জন, এক জন হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি চলে গেছেন, বাকি তিন জন ইন্সটিটিউটের আইসিইউ-য়ে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের কেউ শঙ্কামুক্ত না বলে জানান ইন্সটিটিউটের সহকারী পরিচালক ডা. হোসাইন ইমাম।

Share this post

scroll to top