মসজিদের ঈদের জামাত : ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা

রোনায় মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে আগামীকাল শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক ঈদ জামায়াত আদায় করা যাবে।

সরকারের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শর্ত সাপেক্ষে ঈদ জামায়াত মসজিদে আদায়ের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এর আগে এ আহ্বান জানিয়ে একটি নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, এবার পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণানাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লীরা প্রত্যেকে নিজ-নিজ দায়িত্বে বাসা থেকে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

প্রত্যেককে নিজ-নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে আসবেন এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদে ওজুর স্থানে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।

জামাতে আসা মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে এবং মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়াও, ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

শিশু, বৃদ্ধ, যেকোনো ধরণের অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ না করার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।

সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করাসহ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি ও পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।

করোনা মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে নির্দেশনায় বলা হয়, খতিব, ইমাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করাসহ পশু কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
সূত্র : বাসস

Share this post

scroll to top