মর্মান্তিক : বিদ্যুতের আগুনে পুড়ে মারা গেলো ময়মনসিংহের নব দম্পত্তি

ময়মনসিংহ লাইভ ডেস্ক : আবেগ ও ভালোবাসায় নতুন বিবাহিত স্ত্রীকে বাাঁচাতে গিয়ে নিজেও বিদ্যুতের আগুনে পুড়ে মারা গেলেন। ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার গোপপুর এলাকার আবুল কালামের ছেলে মাহাবুল ইসলাম (২৫) ও তার স্ত্রী রুনিয়া আক্তার খাদিজা (২০)। তারা ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকার মিজানুর রহমানের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। তারা দুইজনই বিসিক শিল্পনগরীতে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। বিয়ের দুই মাসের মাথায় বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় এলাকায় শোক বইছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, সোমবার দুপুরে ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকার ওহাব সরদারের বিল্ডিংয়ের ছাদে কাপড় শুকাতে যান রুনিয়া আক্তার খাদিজা। তিনি ছাদে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ওই বিল্ডিংয়ের ওপর দিয়ে যাওয়া এক লাখ ৩৩ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তার তাকে চুম্বকের মত টেনে নেয়। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রুনিয়ার গায়ের জামায় আগুন ধরে যায়। সেই আগুন নিচে পড়ে দুটি ঘর আগুনে পুড়ে যায়। রুনিয়ার চিৎকারে তার স্বামী মাহাবুল ইসলাম তাকে বাঁচাতে দ্রুত সেই ছাদে ওঠেন। তাকে কোলে করে নিচে নামার সময় শক্তিশালী বিদ্যুতের তার তাকেও টেনে নেয় এবং তিনিও দগ্ধ হন।

স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ হয়ে ছাদে পড়ে থাকার খবর পেয়ে ফতুল্লার বিসিক ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটি ভর্তি করেন।

নিহত মাহাবুল ইসলামের মামা আলিম উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে মাহাবুল ইসলাম ও সকাল ৬টার দিকে রুনিয়া মারা যান।

তিনি বলেন, বিসিকের একটি গার্মেন্টে চাকরির সুবাধে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত দুই মাসে আগে বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে তারা বিয়ে করে সংসার বাঁধে। তারা শাসনগাঁও এলাকার মিজানুর রহমানের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে। ১৫ দিন হলো মাহাবুল ইসলামের পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেয় এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। কিন্তু বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের মর্মান্তিক মৃত্যু হলো।

ফতুল্লা মডেল থানারি ওসি আসলাম হোসেন বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে জানি। কিন্তু তারা মারা গেছে কি-না পরিবারের পক্ষ হতে কেউ জানায়নি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি।

Share this post

scroll to top