মন্ত্রণালয়ে ৩ লাখ ২৫ হাজার শূন্য পদ রয়েছে : প্রতিমন্ত্রী

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদের সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজার ৮২। এসব শূন্য পদ পূরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

সংসদে প্রশ্নোত্তরে সোমবার বেনজীর আহমদের এক প্রশ্নের জবাবে সংসদে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার পদ সমূহের নিয়োগ প্রদান করা হয়ে থাকে। ২০১৯ সালের জানুয়ারী থেকে ৩০ ডিসেম্বর সময়ে ৩৭তম বিসিএসের মাধ্যমে ১২৪৮ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ক্যাডারে এবং ৩৯ তম বিসিএস বিশেষের মাধ্যমে ৪৬১১ জন কর্মকর্তাকে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সর্বমোট ৫৮৫৯ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৪০ তম বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারের শূন্য পদে নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী সংসদে আরো জানান, সরকারি অফিস সমূহের চাহিদার প্রেক্ষিতে সরকারী কর্মকমিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং এর অধীন সংস্থাসমূহের চাহিদার প্রেক্ষিতে সরকারী কর্মকমিশনের মাধ্যমে ১০-১২ গ্রেডেরে ২য় শ্রেনী শূন্য পদে জনবল নিয়োগ করা হয়ে থাকে। ১৩-২০ গ্রেডের ৩য় ও ৪র্থ পদে স্ব স্ব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর সংস্থার নিয়োগ বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ দপ্তর ও সংস্থায় নিয়োগ করে থাকে।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দপ্তরে ৮৮ হাজার ১২৩ টি পদ সৃজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি প্রদান করা হয়েছে। এ সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রণয়, বিভাগের ৯ম থেকে ২০তম গ্রেডে সর্বমোট ৮৪৬টি পদে নিয়োগের ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আদালতে মামলা থাকায়, নিয়োগবিধি কার্যক্রম শেষ না হওয়া এবং পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কিছু শূন্য পদ যথাসময়ে পূরণ করা যায় না।

সরকারি দলের নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ফরহাদ হোসেন জানান, গত অর্থবছরে (২০১৮-১৯) শুধুমাত্র সরকারি যানবাহন চালানো বাবদ সর্বমোট ১১১ কোটি ২৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। নির্ধারিত সিলিং-এর মধ্যে জ্বালানি ব্যয় সীমাবদ্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতর এবং সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে কাজ পরিদর্শনে সরকারি যানবাহনের পরিবর্তে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারের জন্য সরকারি কর্মচারীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

Share this post

scroll to top