ভোটারের আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিসাইডিং অফিসার কী করেন, জানালেন আলমগীর

ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট দিতে ১০ আঙুলের ছাপ নিলে ভোটার শনাক্তের সমস্যা দূর হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে দুটি কাজ একসঙ্গে হয় সেই তথ্য জানিয়ে আলমগীর বলেন, ‘ভোটারের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং ব্যালট ইউনিটে ব্যালট ওপেন হয়ে যায়। তখন ভেতরে গেলেই ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু কারো আঙুলের ছাপ যদি না মেলে; না মেলা কারণ হলো বয়স বেশি হলে, ভারি কাজ করলে বা হাত না থাকলে। এখন কেউ ভোট দিতে না পারলে সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন হয়। সে জন্য প্রিসাইডিং অফিসার কী করেন, ভোটারের নাম-পরিচয় ও এনআইডি নম্বর মিলিয়ে দেখেন।’

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

‘এরপর পরিচয় শনাক্ত হলে এনআইডি নম্বর ব্যালট ইউনিটে দেওয়া হয়। এই তিনটা যদি মিলে যায় তবেই প্রিসাইডিং অফিস ভোটারের পরিবর্তে নিজের আঙুলের ছাপ দেন। তখন ব্যালট ইউনিট সচল হয়। তিনি ভোট দিতে পারেন না। তিনি কেবল সচল করে দেন। সেটার রেকর্ডও আবার ইভিএমের মধ্যে থেকে যায়, যে কাকে এবং কয়জনকে তিনি এই সুযোগটা করে দিয়েছেন।’

প্রেসাইডিং অফিসারের আঙুলের ছাপে ইভিএম সচলের বিষয়ে ইসির এ কমিশনার বলেন, ‘এক শতাংশ ভোটারকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সুযোগটা করে দিতে পারেন।’

বিষয়টি ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘৫০০ ভোটার কোনো কেন্দ্রে থাকলে ৫ জন ভোটারকে তিনি সুযোগটা দিতে পারবেন। ৬ নম্বর ভোটার আসলেও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সেটা পারেন না। কারণ প্রিসাইডিং অফিসারের আইনগত এবং টেকনিক্যালি সে সুযোগ থাকে না।এ অবস্থায় যদি প্রিসাইডিং পোলিং অফিসার, নির্বাচনী এজেন্ট সবাই একমত হন যে ওই ৬ নম্বর ব্যক্তিটি ভুয়া ভোটার নন, তখন প্রিসাইডিং অফিসার রিটার্নিং অফিসারকে ফোন করেন, তিনি আবার নির্বাচন কমিশনে ফোন করবেন। নির্বাচন কমিশন তখন একটা নতুন পাসওয়ার্ড দেয়। সেই পাসওয়ার্ড দিলেই কেবল ওই ৬ নম্বর ব্যক্তিকে সুযোগ করে দিতে পারেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।’

ইসি আলমগীর বলেন, ‘অনেকে টকশোতে আলোচনা করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তার মাধ্যমে ওভাররাইট করা যায়। বিষয়টাই তো ভুল। ওভাররাইট করার তো কোনো সুযোগ নেই। ভোটারের পরিচয় নিশ্চিতের পর ব্যালট পেপার যেমন দেওয়া হয়, এটাও তাই। মিস ইউজ যাতে কোনোভাবে হতে না পারে, সে জন্য ১ শতাংশের বেশি আমরা দিই না। ১ শতাংশের ওপরে কোথাও লাগেও না।’

Share this post

scroll to top