ভুয়া রশিদে মাদ্রাসা-এতিমখানার নামে চাঁদা উত্তোলন

সমাজের মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে জমজমাট ব্যবসা করছে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। নিজেদের আলেম দাবি করে এই প্রতারক চক্র ছড়িয়ে আছে সারাদেশেই।

এমন এক প্রতারক চক্রেরই সন্ধান মিলেছে রাজশাহী মহানগরে।
মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে ভুয়া রশিদ তৈরি করে চাঁদা আদায়ের অপরাধে এই চক্রের ১১ সদস্যকে আটক করেছে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।

শক্রবার দিবাগত রাতে অভিযান শুরু করে ডিবি পুলিশ। পরে এক এক করে এই প্রতারক চক্রের ১১ সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয় মহানগর ডিবি পুলিশ।

শনিবার (৮ মে) দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস গণমাধ্যমকর্মীদের এ অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কতিপয় ব্যক্তি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের অনুভূতি ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে রাজশাহী মহানগরের রাজপাড়া থানার হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) বালিকা ক্বারিয়ানা হাফিজিয়া আবাসিক মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং ও এতিম খানা এবং অন্যান্য মাদ্রাসার এতিম খানার নামে ভুয়া রশিদ তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে চাঁদা আদায় করে আসছিল।

গোপন তথ্যের সূত্র ধরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ টিম শুক্রবার রাতে রাজপাড়া থানার ঘোষের মাহাল এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে ভুয়া রশিদ তৈরি করে চাঁদা আদায়ের অপরাধে ১১ প্রতারক সদস্যকে আটক করে। এ সময় আটকদের হেফাজত থেকে ভুয়া রশিদ ও ভুয়া রশিদের মাধ্যমে উত্তোলনকৃত নগদ ৩৫ হাজার ২৫০ টাকা উদ্ধার করা হয় বলে জানান অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে ভুয়া রশিদ তৈরি করে চাঁদা আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন। তারা জানান, তাদের অধিকাংশের বাড়ি বৃহত্তর রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায়। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা একত্রিত হয়ে রাজশাহী মহানগর এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে রমজান ও ঈদকে উদ্দেশ্য করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছ থেকে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিম খানার নামে ভুয়া রশিদের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আসছিলেন।

আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

Share this post

scroll to top