ভালুকায় স্কুলছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, কিশোর গ্রেপ্তার

Arrest-আটকময়মনসিংহের ভালুকায় আফ্রিদি নামে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে অপহরণ ও আটক রেখে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আফ্রিদির বাবা বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

এদিকে মামলার পরপরই থানা পুলিশ প্রযুক্তি ব্যহারের মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জামিরদিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে কিশোর মো. সজিব মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর আবেদনে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ধোবাউড়া পুড়াকান্দুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আফ্রিদির বাবা মো. আবদুল খালেক ভালুকার হবিরবাড়ি এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করে একটি মেস পরিচালনা করে আসছেন। করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকায় ছেলে আফ্রিদিও বর্তমানে বাবার সাথে থেকে লেখাপড়া করছে। গতকাল সোমবার বিকেলে আফ্রিদি কাগজ কেনার জন্য জামিদিয়া মাস্টারবাড়ি আব্দুল গনি মাস্টার স্কুলের সামনে গেলে মাহাবুব নামের এক কিশোর তাকে কৌশলে ডেকে নেয় এবং আব্দুল গনি মাস্টার স্কুলের পাশে এক গলির ভিতর নিয়ে চোখ-মুখ বেধে আটকে রাখে। পরে আফ্রিদির সাথে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে তার মামার নম্বরে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ হিসাবে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে এবং অন্যথায় হত্যার হুমকী দিকে তাকে (আফ্রিদি) মারধর শুরু করে। ঘটনাটি জানতে পেয়ে বাবা মো. আবদুল খালেক ছেলের মুক্তির জন্য ওদের সাথে ৫ হাজার টাকায় রফা করেন। অতঃপর আফ্রিদির মামা কিশোর (অপরাধী) মো. সজিব মিয়ার বিকাশ নম্বরে ৫ হাজার টাকা পাঠালে ওরা তাকে (আফ্রিদি) ছেড়ে দেয় এবং ছেড়ে দেওয়ার আগে আফ্রিদিকে জোরপূর্বক মোবাইলে কিছু ভিডিও রেকর্ড করে রাখে। রাত ১১টারদিকে তারা আফ্রিদির ফোন নম্বর কল দিয়ে মোবাইল ভিডিওর জন্য আবারো ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার এসআই জীবন চন্দ্র বর্মণ জানান, ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় উল্লেখিরা কিশোর অপরাধী। ওদের একজনকে গ্রেপ্তার করে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর আবেদনে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

Share this post

scroll to top