ভালুকায় গৃহবধূ হত্যা ঘটনায় রক্তমাখা চাকুসহ সাবেক স্বামী গ্রেপ্তার

Arrestময়মনসিংহের ভালুকায় হেনা আক্তার (৪১) নামের গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় সাবেক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল মতিন নিহত হেনা আক্তারের সাবেক স্বামী। আজ বুধবার (১১ মার্চ) দুপুরে পাশের ত্রিশাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। গেফতারের সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা চাকু ও ঘটনার সময় মতিনের পরিধেয় রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করা হয়। সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে গ্রেপ্তারকৃত আবদুল মতিনকে বৃহষ্পতিবার (১২ মার্চ) আদালতে নেয়া হবে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (১ মার্চ) সকালে উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের কুমারঘাটা গ্রামের স্বামী রফিকুল ইসলামের বাড়ির পাশের একটি বাঁশের ঝাড় থেকে গলা কাটা ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে আনে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।

উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের নিশিন্দা গ্রামের শেখ চাঁন মন্ডলের মেয়ে তিন সন্তানের জননী হেনা আক্তার তার সাবেক স্বামী ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের কুমারঘাটা গ্রামের আবদুল মতিনকে ছেড়ে একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম রবিকে বিয়ে করে। রবি আবদুল মতিনের ভগ্নিপতি। এদিকে, হেনা আক্তার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দুপুরে একই গ্রামে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন এবং রাতে মেয়ের শাশুড়ি সমলা খাতুনের সাথে তার ঘরে ঘুমান। পরদিন রবিবার (১ মার্চ) স্বামী রফিকুল ইসলামের বাড়ির পাশের একটি বাঁশের ঝাড় থেকে হেনা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় হেনা আক্তারের মেয়ের স্বামী সাদ্দাম হোসেন, সাদ্দামের মা সমলা খাতুন ও মামা শফিকুল ইসলামকে থানায় নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। হেনা আক্তারের ভাই মোর্শেদ মন্ডল বাদী হয়ে গত রবিবার রাতে ভালুকা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে ওই মামলায় কাউকে আসামি করা হয়নি। ভালুকা মডেল থানার এসআই ইকবাল হোসেন মামলাটি তদন্ত করছেন।

হেনা আক্তারের সাবেক স্বামী আবদুল মতিনকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থেকে আবদুল বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা আবদুল মতিনকে বিভিন্ন প্রচেষ্টায় ঘটনার ১১ দিন পর আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।

Share this post

scroll to top