ভালুকায় আমন সংগ্রহের ধান দিতে গিয়ে আটক ২

ময়মনসিংহের ভালুকায় চলতি আমন মৌসুমে অবৈধভাবে সরকারি দামে ধান দেয়ার সময় ধানভর্তি ট্র্রাকসহ দুই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা খাদ্যগুদামে।

উপজেলা গুদাম কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মওসুমে ভালুকায় ধান সংগ্রহে চাহিদা দেয়া হয়েছে এক হাজার ৯৯১ মেট্রিক টন। গত ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে তা উদ্বোধন করা হয় এবং ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী সংগ্রহের কথা রয়েছে। এ পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়েছে ২২৯ মেট্রিক টন।

মঙ্গলবার নিবাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ধান নামানোর প্রস্তুতিকালে ৬ মেট্রিক টন ধানভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করেন এবং এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সাখাওয়াত হোসেন ও রাকিবুল হাসান নামে উপজেলার মেদুয়ারী গ্রামের দুই যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

জানা যায়, উপজেলার মেদুয়ারী ব্লকে ধান সরবরাহের জন্য লটারির মাধ্যেমে ২১ জন কৃষকের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়। কিন্তু তালিকায় আটককৃত যুবকদের নাম থাকলেও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তাদের চিনেন না বলে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্বীকার করেন। পরে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ওই গ্রামের আফজাল হোসেনের নামে এসব ধান সরবরাহ করছেন বলে জানান। তবে অভিযুক্ত আফজাল হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করেন।

অভিযোগ রয়েছে, মাঠে না গিয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা তাদের মনগড়া মতো তালিকা দেয়ায় এমনটি সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা সরকারি খালি বস্তা প্রকৃত কৃষকদের না দিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে।

উপজেলার মেদুয়ারী ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলাউদ্দিন তালিকা প্রণয়নের বিষয়ে গাফিলতির কথা স্বীকার করে বলেন, তালিকা করতে তার আরো আন্তরিক হওয়ার প্রয়োজন ছিলো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নারগিস আক্তার জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলার কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আবুল বাশার ধান সংগ্রহে অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন, কৃষক হলেই আমি ধান নিবো, যাচাই-বাছাই করার সময় আমার নেই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি খাদ্যগুদামে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং ধানভর্তি ট্রাকসহ দুই যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার ওসি মাইন উদ্দিন জানান, ধানভর্তি ট্রাকসহ দুই যুবক থানায় রয়েছে। লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি।

Share this post

scroll to top