ভারতে হিন্দুনেতা খুনে নয়া মোড়! আটক মুসলিমরা নয়, বিজেপি নেতাই খুনি : দাবি মায়ের

ভারতের লখনউয়ের হিন্দু মহাসভা নেতা কমলেশ তিওয়ারির খুনে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দুই মৌলবিও রয়েছেন। কিন্তু, কমলেশের পরিবার পুলিশের এই ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয়। নিহত হিন্দুনেতার পরিবার কমলেশ খুনের ঘটনায় বিজেপিকেই এদিন কাঠগড়ায় তুলল।

শনিবার কমলেশ তিওয়ারির পরিবারের সদস্যদের তরফে দাবি করা হয়েছে, হিন্দুনেতার খুনে হাত রয়েছে বিজেপির এক নেতার। শিবকুমার গুপ্তা নামে ওই বিজেপির ওই নেতাকে যাতে দ্রুত গ্রেফতার করা হয়, পুলিশের কাছে সেই আর্জি জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। তারা প্রকাশ্যেই দাবি করেন, কমলেশ খুনের জন্য শিবকুমার দায়ী।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের প্রধান ওপি সিং এদিন সাংবাদিকদের জানান, হিন্দুনেতা খুনে জড়িত সন্দেহে মৌলনা শেখ সেলিম, ফৈজান ও রশিদ পাঠান নামে তিনজনকে গুজরাট পুলিশ সুরাট থেকে গ্রেফতার করেছে। এ ছাড়া বিজনৌর থেকে আরো দুই মৌলবি গ্রেফতার হয়েছে।

যোগীরাজ্যের পুলিশ এদিন পাঁচজনকে গ্রেফতারের পর দাবি করে, হিন্দুনেতার খুনের কিনারা তারা করে ফেলেছে। ২০১৫ সালে হজরত মোহাম্মদকে নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করেছিলেন কমলেশ তিওয়ারি। সেই ঘটনার জেরেই তাকে খুন করা হয়।

হিন্দুনেতার খুনিদের মুণ্ডচ্ছেদ করলেই পুরস্কার ১ কোটি, ঘোষণা শিবসেনার
হিন্দু মহাসভার সাবেক নেতা কমলেশ তিওয়ারির খুনিদের কেউ মাথা কাটতে মারলে, ব্যক্তিগতভাবে তিনি ওই ব্যক্তিকে ১ কোটি রুপি পুরস্কার দেবেন। শনিবার এই মর্মে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করলেন বিজেপির এক নেতা।

এক ভিডিও বার্তায় অরুণ পাঠক নামে শিবসেনার ওই নেতা বলেন, ‘কমলশে তিওয়ারিকে যারা নৃশংসভাবে খুন করল, আমি বিশ্বাস করি, তাদের বিচারে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত নয়। একই কায়দায় ওই খুনিদেরও ধড়-মাথা বিচ্ছিন্ন করে মারা উচিত। যে ব্যক্তি কমলেশের খুনিদের মাথা কাটতে পারবে, আমি তার পরিবারকে ১ কোটি রুপি দেব। আমি কমলেশ তিওয়ারি এই পুরস্কার ঘোষণা করছি।’

পাঠকের বক্তব্য, ‘হিন্দুদের পক্ষে কথা বলার জন্যই তিওয়ারিকে এমন নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটা হয়তো একটা বার্তাও, যারা হিন্দুদের হয়ে কথা বলবে, তাঁদের এ ভাবে মেরে ফেলা হবে। ভারতে এটা আমরা হতে দিতে পারি না।’
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে, কমলেশকে ১৩ বার কোপানো হয়েছে। তার ঘাড়ের কাছে অদ্ভুত একটা ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশের এক সূত্রের খবর, কাউকে খুনের সময় উগ্রবাদীরা যে ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে, কমলেশের ঘাড়ে পাওয়া ক্ষতের সঙ্গে সেটার অনেকটাই মিল রয়েছে। ওই সূত্র আরো জানিয়েছে, কমলেশের মুখের ভিতরে গুলি করা হয়। সেই গুলি তার পিঠ ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়।

সূত্র : এই সময়

Share this post

scroll to top