ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ক্ষমতাসীন দল বিজেপি নির্বাচনে জয়ী হলে পুরো সেটআপ প্রায় আগের মতোই থাকছে। অন্তত প্রধানমন্ত্রীত্ব যে নরেন্দ্র মোদির কাছেই থাকছে, তা নিয়ে সন্দেহ তেমন নেই বললেই চলে। কিন্তু বিজেপি হারলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, সেটি নিয়ে জটিলতা রয়েই গেছে।
বিরোধীদের মহাজোটের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, সেই বিষয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। কারণ কখনো এক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জি, কখনো মায়াবতী আবার কখনো চন্দ্রবাবু নাইডুর নাম উঠে এসেছে। জোটের পক্ষ থেকে অবশ্য এ ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত কথা বলা হয়নি। তবে এবার জানা গেছে ২১ মে বিরোধী জোটের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
গতকাল বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২১ মে অর্থাৎ ফল প্রকাশের ঠিক দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঠিক করতে বৈঠক করবে বিরোধী দলগুলো।
কয়েকদিন আগে এক সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধী জোট সম্পর্কে কটাক্ষ করে বলেন, তারা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নতুন জামা নিয়ে বসে আছেন, আর ২৩ মে-র তারা সেই জামা ছিঁড়ে ফেলবেন। চন্দ্রবাবু বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে এমন মন্তব্য করা তার জন্য উচিৎ নয়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে শরদ পাওয়ার তিনজন নেতা-নেত্রীর নাম বলেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, এবার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে থাকছেন মমতা ব্যানার্জি, চন্দ্রবাবু নাইডু ও মায়াবতী।
শারদ পাওয়ার নাকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাহুল গান্ধীকে দেখতে চাইছেন না। রাহুলের থেকে বরাবরই আঞ্চলিক নেতা-নেত্রীদের এগিয়ে রাখছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের এই খবর উড়িয়ে দিয়েছেন শরদ পাওয়ার। তিনি বলেন, রাহুল নিজেই একাধিক অনুষ্ঠানে বলেছেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে নেই। তাই এই বিষয়ে কোনো বিতর্ক থাকার কথা নয়।