বিশ্ব ইজতেমায় ১১ দিন ছুটি পাবেন না গাজীপুরের চিকিৎসক-নার্সরা

তিন দিন পর টঙ্গীতে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের টুকিটাকি কাজ। ইজতেমা উপলক্ষে গাজীপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই নোটিশ দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই আদেশ বলবত থাকবে।

এ দিন ওই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে বিশ্ব ইজতেমা কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কেন্দ্রীয় সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রকের (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক ফরিদ হোসেন মিয়া, গাজীপুরের সিভিল সার্জন খায়রুজ্জামান, টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত গাজীপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

গাজীপুরের সিভিল সার্জন খায়রুজ্জামান জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের সেবা কার্যক্রম প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বিভাগের পাঁচটি ক্যাম্প স্থাপনের কাজ চলছে। এসব ক্যাম্প থেকে ২৪ ঘণ্টা মুসল্লিদের বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। প্রতিটি ক্যাম্পে দুজন চিকিৎসক, দুজন সহকারী ও দুজন অফিস সহায়ক কাজ করবে। স্থানীয় হোন্ডা কারখানা গেট, বাটা শু গেট, মুন্নু নগর, বিদেশি তাবুতে এবং টঙ্গী জংশন এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের এসব ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম জানান, এসব ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প ছাড়া টঙ্গী হাসপাতালে ডায়রিয়া, অ্যাজমা, ট্রমা, বক্ষব্যাধি, ডায়রিয়া, ডেঙ্গু, নাক-কান-গলা, চক্ষু ও বার্ন ইউনিটের কার্যক্রম চলবে। এ জন্য পর্যাপ্ত শয্যাও থাকবে। টঙ্গী হাসপাতালে ইজতেমা উপলক্ষে সাতটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল মোতায়েন থাকবে।

আগামী শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) এ বছরের প্রথম পর্বের ইজতেমা শুরু হয়ে রবিবার (১৫ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে। মাঝে চার দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের অনুসারী (মাওলানা সা’দপন্থি) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন। ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে।

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আয়োজক কমিটির নেতা প্রকৌশলী মাহফুজ জানান, ইতিমধ্যে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। শেষ মুহূর্তেও টুকিটাকি কাজ চলছে। আগামী বুধবার বাদ আসর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিরা মাঠে এসে অবস্থান নেবেন।

Share this post

scroll to top