বিশ্বজুড়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে তথ্য প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ড মিটারের হিসাবে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ভাইরাসে সংক্রমণের প্রথম ঢেউ এখনও অনেক দেশ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। এর মধ্যেই সেসব দেশ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে, লকডাউন প্রত্যাহার করেছে। আবার কিছু দেশে এখন চলছে দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ।

দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানিতে প্রাথমিকভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে এই দুটি দেশকেই এখন নতুন ক্লাস্টার নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হচ্ছে।

জার্মানির নর্থ রাইন-ওয়েন্টফালিয়ের একটি মাংস কারখানায় করোনার সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় মঙ্গলবার ওই এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই কারখানার ১ হাজার ৫৩৩ জন কর্মী কোভিড-১০ এ আক্রান্ত হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। মে মাসে অবকাশকালীন ছুটির সময় এই সংক্রমণ শুরু হয় বলে ধারণা করছেন কোরিয়ার সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের কর্মকর্তারা। শরৎ ও শীতের মাসগুলোতে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংস্থার পরিচালক জাং আন-কিয়ং। ব্যাপক সংক্রমণের আশঙ্কা ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের বিছানার সংখ্যা বাড়ানো শুরু করেছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র লকডাউন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় অর্থনৈতিক স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে। তবে এরই মধ্যে কিছু রাজ্যে করোনার সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। তরুণরা সামাজিক দূরত্ব মেনে না চলায় দক্ষিণ ও পশ্চিমের অঙ্গরাজ্যগুলোতে বাড়ছে সংক্রমণ।

করোনা আক্রান্তের তালিকায় এখন চতুর্থ অবস্থানে ভারত। দেশটিতে গত আট দিনে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখের বেশি মানুষ। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৪১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতেও সংক্রমণের হার বাড়ছে। এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ব্রাজিলের। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়েছে। ইতোমধ্যে মারা গেছে ৫১ হাজার ৪০৭ জন আক্রান্ত।

১৯ জুন মেক্সিকোতে ৫ হাজার ৬৬২ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। এক দিনে আক্রান্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড এটি। গত এক সপ্তাহে দেশটিতে করোনায় গড় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আর মারা গেছে ২২ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত।

Share this post

scroll to top