বাতি আছে, আলো নেই

মানিকগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক শহীদ রফিক সড়ক। এটি শহরের প্রবেশপথ হিসেবে খ‌্যাত। এ সড়কের বাসস্ট্যান্ড থেকে খালপাড় এলাকা দিয়ে দিনে-রাতে হাজারো মানুষের যাতায়াত। দিনের বেলা সড়কটি দেখলে শহরের প্রধান সড়ক মনে হলেও সন্ধ্যার পর তা ঘুটঘুটে অন্ধকারে ছেয়ে যায়।

পৌরসভার পক্ষ থেকে এ সড়কে বসানো হয়েছে সারি সারি বাতি (স্ট্রিট লাইট)। তবে রাতের বেলা জ্বলে না এসব বাতি। ফলে রাস্তায় এত বাতি থাকলেও তা জনসাধারণের কাজে আসছে না। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছু কাজ বাকি থাকায় বাতিগুলো এখনো জ্বলছে না। এ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে তা দ্রুত উদ্বোধন করা হবে।

পৌরসভা ও সড়ক ভবন জানায়, কয়েক বছরে আগে এ সড়কটি দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করা হয়। মানুষ ও যানবাহনের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে ৮৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে স্ট্রিট লাইট বসানোর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।

ছবি: জ্বলছে না সড়কের বাতি

সরেজমিনে শহীদ রফিক সড়কে গিয়ে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ড থেকে শহরের খালপাড় পর্যন্ত রাস্তার মাঝখান দিয়ে লোহার খুঁটির ওপর স্ট্রিট লাইট বসানো হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুত সংযোগ ও লাইটগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে কয়েকবার। তবে সব ঠিক থাকলেও রাতের বেলায় বাতিগুলো জ্বলছে না। ফলে পথচারী ও যানবাহনের চালকদের ঝুঁকি নিয়ে অন্ধকারেই পথ চলতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলেন, ‘বাসস্ট্যান্ড থেকে খালপাড় পর্যন্ত রাস্তায় স্ট্রিট লাইট লাগাতে দেখে খুব আনন্দিত হয়েছিলাম। কারণ, রাতে সময় এ রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে একটু ভয় ভয় লাগে। সড়কটি শহরের প্রবেশপথ হওয়ায় মানুষের সঙ্গে আছে যানবাহনের চাপ। লাইটগুলো জ্বললে ভালো হবে। লাইটগুলো রাতের বেলায় আলো দিলে মানুষের নিরাপত্তার পাশাপাশি সৌন্দর্য্যও বাড়বে।’

গাড়িচালকরা জানান, রাতের বেলায় চোর-ডাকাত ও মাদকসেবীদের ভয় থাকে। মাঝেমধ্যেই রাস্তায় মোটরসাইকেল ও গাড়ি চুরি হয়। লাইটগুলো রাতের বেলায় জ্বললে এ ভয় থাকত না।

মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম বলেন, ‘কিছু কাজ বাকি আছে। মাঝেমধ্যে লাইটগুলো জ্বালানো হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ লাইটগুলো উদ্বোধন করা হবে। তখন এগুলো নিয়মিত রাতে জ্বালানো হবে।’

Share this post

scroll to top