বাকৃবিতে এনএসটি ফেলোশিপের চেক পেলেন বিপাকে পড়া শিক্ষার্থীরা

BAU Campus Pic

করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে চলমান অচলাবস্থার মধ্যে বাড়িতে বসেই ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপের চেক পেলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বিপাকে পড়া শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে বিপাকে পড়া ১০১ জনের চেক সংগ্রহ করে মঙ্গলবার (১২ মে) ময়মনসিংহে অবস্থানকারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের মধ্যে তা হস্তান্তর করেন অধ্যাপক ড. এম.এ.এম ইয়াহিয়া খন্দকার।

জানা যায়, গত ৫ মে যুগ্ম সচিব মো. রবিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি, ভৌত ও জীববিজ্ঞান তিনটি গ্রুপের ১২০০ জনকে ৭-১১ মার্চের মধ্যে ঢাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে এসে চেক সংগ্রহ করার নির্দেশ দেয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহেদ হোসেন ও পশুপ্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী তাসমিনা লিসা বিপাকে পড়া শতাধিক শিক্ষার্থীর অথোরাইজেশন লেটার ও ব্যাংক তথ্য সংগ্রহ করে ড. এম.এ.এম ইয়াহিয়া খন্দকারকে প্রদান করেন। পরে ড. ইয়াহিয়া ১০১ জনের চেক মন্ত্রণালয় থেকে সংগ্রহ করেন এবং ময়মনসিংহে অবস্থানকারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের মধ্যে তা হস্তান্তর করেন। এরপর প্রতিনিধিরা সকল শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্ব স্ব চেক জমা দেন।

এসময় শিহাব উদ্দিন (মৃত্তিকা ‍বিজ্ঞান বিভাগ) সায়েমা হক (কৃষিতত্ত্ব বিভাগ), শম্পা (কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজন্ন বিভাগ), নাইমা তাসনিম, নাবিলা হক, জাবের বিন আজিম, সুমিত ঘোষ, মনসুরা আক্তার জবা সহ অনেকেই উপস্থিত থেকে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চেক গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞানের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাইমা তাসনিম বলেন, করোনার সংকটময় মুহূর্তে চেকের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছিলো, চেক রিইস্যু করাটাও খুব ঝামেলার ছিলো। এমন সময় ড. ইয়াহিয়া স্যার নিজ দায়িত্বে চেক কালেক্ট করছেন। এছাড়াও শাহেদের কথা না বললেই নয়, সে সবার চেকের ডিটেইলস খুব আন্তরিকতার সাথে কমপাইল করছে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. এম.এ.এম ইয়াহিয়া খন্দকার বলেন, শিক্ষার্থীদের দুঃসময়ে সহযোগিতা করা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় আমি নিজ উদ্যোগেই শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করি৷ এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে আমার দুই শিক্ষার্থী শাহেদ ও লিসা। আর শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান এই উদ্যোগকে সাধুবাদ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

Share this post

scroll to top