বাংলাদেশে অফিস চালু করছে ‘ভিসা’

ঢাকায় স্থানীয় লিয়াজোঁ অফিস শুরু করার পরিকল্পনা করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পেমেন্ট টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান ভিসা। বুধবার (১৭ জুন) এ কথা জানিয়েছে তারা।

চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই নতুন এ অফিস চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। অফিসটি চালু হওয়ার পর ভিসার কর্মীরা স্থানীয় বাজারে নতুন সেবা চালু ও দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক কর্মসূচি পরিচালনা করবে এবং বিশ্বের অন্যতম দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অংশীদার হবে।

ভিসার এশিয়া প্যাসিফিকের রিজিওনাল প্রেসিডেন্ট ক্রিস ক্লার্ক বলেন, ‘১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর পর এ দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে উঠতে আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। বিগত কয়েক বছরে ম্যাগস্ট্রাইপ (ম্যাগনেটিক স্ট্রাইপ) কার্ড থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ট্যাপ অ্যান্ড পে স্পর্শহীন (কন্ট্যাক্টলেস) কার্ড চালুর মাধ্যমে এ দেশের বাজারে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে ভিসা। বর্তমানে, আমাদের প্রায় ৫০টি ব্যাংক এবং শীর্ষস্থানীয় ফিনটেক প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব রয়েছে; যারা বিভিন্ন ধরনের হাজারেরও বেশি মার্চেন্টের সাথে ব্যবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে কার্ডধারীদের সহজে পেমেন্টের বিষয় নিশ্চিত করতে কাজ করে। আমাদের বিশ্বাস, নিবেদিত কর্মীর মাধ্যমে এদেশে ভিসার নিজস্ব অফিস শুরু করে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধনশীল ডিজিটাল পেমেন্ট সুবিধা প্রদানের এটিই উপযুক্ত সময়।’

তিনি আরো বলেন, ‘ব্যবহারকারীরা যেন সহজে ও সুরক্ষিতভাবে দেশে কিংবা দেশের বাইরে ডিজিটাল পেমেন্ট করতে পারেন এজন্য বাংলাদেশের ডিজিটাইজেশনে অঙ্গীকারবদ্ধ ভিসা। এ খাতে বাংলাদেশের যে সম্ভাবনা রয়েছে তাতে আমরা সত্যিই আশাবাদী এবং আমাদের প্রত্যাশা, স্থানীয় লিয়াজোঁ অফিস সামনের দিনগুলোতে আমাদের বাজার প্রবৃদ্ধিকে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।’

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল পেমেন্ট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভিসার এদেশে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভিসা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কন্ট্যাক্টলেস কার্ড নিয়ে আসে এবং দেশে বাংলাকিউআর স্পেসিফিকেশনের সাথে মিল রেখে ওপেন-লুপ, ইন্টারোপেরাবল কিউআর পেমেন্টস চালু করে। কার্ড অন ফাইল, ওয়ালেট লোড ও অন্যান্য পেমেন্ট উদ্ভাবন নিয়ে আসতে বৃহৎ ফিনটেক ও ইকমার্স প্রতিষ্ঠানের সাথে মিলে কাজ করেছে ভিসা।

বাংলাদেশে এ বছর শেষ হওয়ার আগেই স্থানীয় লিয়াজোঁ অফিস চালু করতে প্রয়োজনীয় অনুমতির জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

Share this post

scroll to top