বাংলাদেশের বিজিবি’র বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভারতের বিএসএফ

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর হেড কনস্টেবল বিজয়ভান সিংহের মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)কে দায়ি করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে বিএসএফ। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানায় বিএসএফের বামনাবাঁত বিওপির কোম্পানি কমান্ডার কেসি মিনা এই অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-র বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।

নিহত বিজয়ভান সিংহ

নিহত বিজয়ভান সিংহ

আহত বিএসএফ সদস্য রাজবীর সিং বলেন, আমরা ফ্ল্যাগ মিটিং করতেই গিয়েছিলাম। হঠাৎ দেখি, বিজিবি বোট নিয়ে আমাদের ঘেরার চেষ্টা করছে। সেই সময় আমরা পিছু হটতে থাকি। তার পর ওরা আচমকাই গুলি চালাতে থাকে। আমরা ফোর্স নিয়ে গিয়ে পাল্টা হামলা চালালে অনেক বড় ঘটনা ঘটতে পারত।

বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক প্রণব মণ্ডলের স্ত্রী রেখা মণ্ডল বলেন, এই সময় পদ্মায় ইলিশ বেশি পাওয়া যায়। মাছ বিক্রি করে ভালো টাকা আয় হয়। সারা বছরের সংসার খরচ অনেকটাই উঠে আসে। আমার স্বামী বহুদিন ধরে মাছ ধরতে পদ্মায় যান। কোনওদিন এমন হয়নি। ওরা কেন স্বামীকে ধরে রেখেছে বুঝতে পারছি না। এরকম হতে থাকলে আমাদের সংসার চলবে কীভাবে? একই প্রশ্ন পদ্মা পাড়ের অন্যান্য মৎস্যজীবীরও।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার তিন ভারতীয় মৎস্যজীবী সীমানা অতিক্রম করে অবৈধভাবে পদ্মায় মাছ ধরতে আসেন। পরে তাদের একজনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পারিয়ে যায়া দু’জন ফিরে ফিরে সেকথা বিএসএফকে জানান। এরপরেই বিএসএফের ১১৭ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা  সীমানা অতিক্রম করে অবৈধভাবে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বিএসএফ সদস্যরা আটক হয়া মৎসজীবিকে জোরপূর্বক চিনিয়ে নিতে বিজিবি সদস্যদের ওপর গুলি চালালে বিজিবি পাল্টা আক্রমণ করে। এসময় স্পীডবুট যোগে বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালিয়ে পালাতে থাকলে বিজয় ভান নামে এক জওয়ানের মাথায় গুলি লেগে মারা যায় বলে বিএসএফের অভিযোগ। সেই সাথে অপর বিএসএফ সদস্যও আহত হন।আহত সদস্যের ডান হাতে গুলি লাগে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর হাত থেকে গুলি বেরিয়ে গিয়েছে। এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশী।

Share this post

scroll to top