বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে লক্ষীপুরে যুবলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০

লক্ষীপুরে জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দু’গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা যুবলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু, পদ প্রত্যাশী সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম বাবরসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে মেঘনা রোডস্থ ইয়াছিন সর্দার জামে মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ দিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহর জুড়ে চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র স্থানীয়রা জানান, জেলা যুবলীগে বর্ধিত সভাকে ঘিরে পদ প্রত্যাশী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক অন্তত ১০ জন নেতা প্রার্থিতা ঘোষণা করে নেতাদের শুভেচ্ছো জানিয়ে শহরে বিলবোর্ড, প্লেকার্ড, ব্যানার- ফেস্টুন দিয়ে নেতাদের শুভেচ্ছা জানান। শহরের সোনার বাংলা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে দুপুর ২টার দিকে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নেতাদের বরণ করতে বেলা ১২টা থেকে পদ প্রত্যাশীরা নিজ নিজ কর্মী সমর্থকদের নিয়ে রামগঞ্জ-ল²ীপুর সড়কসহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন।

এসময় জেলা যুবলীগ সভাপতি টিপু ও সাধারণ সম্পাদক নোমান নেতাদের বরণ করতে ওই সড়কে তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার পথে জেলা যুবলীগের শীর্ষ পদ প্রত্যাশী নুরুল আজিম বাবর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে জেলা যুবলীগ সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু, পদ প্রত্যাশী নুরুল আজিম বাবর, রুপম, কর্মী মনির হোসেন, জামাল, মামুন, খোরশেদ, সবুজ, আব্দুল হাশিম, সৌরব, তারেকসহ ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন। জেলা যুবলীগ সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বর্ধিত সভায় যোগ দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে দুপুর ২ টা থেকে বর্ধিত সভা শুরু হয়। সভায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈমসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা অতিথি হিসেবে অংশ নেন।

জানতে চাইলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত বাবর অভিযোগ করে বলেন, জেলা যুবলীগ সভাপতি টিপু ও সাধারণ সম্পাদক তার কর্মী সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তাকেসহ তার ১৫ জন সমর্থককে মারধর করা হয়। তিনি দলের জন্য ১৯ বছর কারাভোগ করেছেন জানিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এ ঘটনার বিচার দাবী করেন।

জেলা যুবলীগ সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, দলীয় সমর্থকদের ভেতরে বিএনপি জামায়াত ঢুকে বিশৃঙ্খলাতা দেখাতে গেলে আমরা সিনিয়ররা তা চিহ্নিত করতে গেলে তিনিসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। দলীয় কোন গ্রæপিং নেই বলেও দাবী করেন তিনি।

ল²ীপুর সদর থানার ওসি তদন্ত শিপন বড়ুয়া জানান, বিপুল সংখ্যক লোকের সমাগমে কিছু বিশৃঙ্খলাতা (হাতাহাতি) হয়েছে। কোন সংঘর্ষ হয়নি বলে জানান তিনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর টিপুকে সভাপতি ও আবদুল্লাহ আল নোমানকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করা হয়।

Share this post

scroll to top