বরিশালে ১০ কোটি টাকার নকল ওষুধ-কাঁচামাল জব্দ

বরিশালে আটটি খ্যাতনামা ওষুধ কোম্পানির মোড়কে উৎপাদিত প্রায় ১০ কোটি টাকার নকল ওষুধ, কাঁচামাল এবং সরঞ্জাম জব্ধ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (১৫ জুন) বিকেলে নগরীর সাগরদী দরগাহ বাড়ি এলাকায় নকল ওষুধ তৈরির ওই কারখানাটিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের পর কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

ওষুধ প্রশাসন এবং পুলিশের সহায়তায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।

সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।

সেসময় নকল ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনের সাথে জড়িত থাকায় কারখানা সংশ্লিস্ট দুজনকে আটক করে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

একই সাথে তাদের প্রত্যেককে আড়াই লাখ টাকা করে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, ওই এলাকার হদুয়া লজ-২ নামে একটি বাড়িতে বিভিন্ন কোম্পানির নকল ওষুধ তৈরির কার্যক্রম চলছিলো। ওই বাড়ির মালিক সাইফুল ইসলাম ঢাকার বাবু বাজারে ওষুধের ব্যবসা করেন। বরিশালে তার বাড়িতে উৎপাদিত এসব নকল ওষুধে খ্যাতনামা বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির মোড়ক লাগিয়ে ঢাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হতো। সেখান থেকে ওই ওষুধ ছড়িয়ে দেওয়া হতো সারা দেশে।

বরিশালের কেমিস্ট ল্যাবরেটরিজের জেনারেল ম্যানেজার কাজল ঘোষ জানান, তাদের কোম্পানি-সহ বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির মোড়কে ওই কারখানায় নকল ওষুধ উৎপাদন করে বাজারজাত করা হতো। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিষয়টি তিনি বরিশালের ড্রাগ সুপারকে জানান।

ওষুধ প্রশাসন বিভাগ বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানালে কারখানায় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। নকল ওষুধ এবং প্রসাধনী তৈরির সময় হাতেনাতে আটক করেন কারখানার প্রধান পরিচালক মাসুম বিল্লাহ এবং তার সহযোগী নূরে আলম গাজীকে। তারা নকল ওষুধ তৈরির কথা স্বীকার করেন।

তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারখানার প্রধান পরিচালক মাসুম বিল্লাহ ঢাকার ওষুধ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের ভাগ্নে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জব্দকৃত নকল ওষুধ ও কাঁচামাল নগরীর রসুলপুর চরে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’

Share this post

scroll to top