বরগুনায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা

বরগুনার বামনায় মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিবক উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের ধোপাবাড়ীর হরি মন্দির এ ঘটনা ঘটে। পরে বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন।

জানা যায়, উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের ধোপাবাড়ী বাসাবাড়ী নামক বাড়িতে ৫ বছর আগে একটি হরি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন নৃপেন চন্দ্র দাস। ওই মন্দিরটির পূজা অর্চনার দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় নৃপেন দসের মেয়ে কল্পনা রানী দাসকে। গত কয়েক বছর ধরে কল্পনা রানী তান্ত্রিক সাধনার মাধ্যমে লোকের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে। এ নিয়ে ওই বাড়ির অন্যান্য বাসিন্দাদের সাথে তার বাকবিতণ্ডা ঘটে।

কল্পনা রানীর অবৈধ এ চিকিৎসা সেবা প্রদানের বিষয়ে জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সবুজ ও বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মাসুদুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে এ অপচিকিৎসা বন্ধ করার পরামর্শ দেন। এর কয়েকদিন পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ওই মন্দিরের তালা ভেঙ্গে পাঁচটি প্রতিমা ও মন্দিরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।

মন্দিরের সেবাইত কল্পনা রানী বলেন, আমি গরীব মানুষ লোকের রোগ বালাই ভালো করে দুমোঠে ভাতের জোগার করি। আমাকে এই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ ও আমার চিকিৎসা সেবা বন্ধ করার জন্য দুর্বুত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

এ ঘটনায় বুকাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সবুজ বলেন, কল্পনা রানী অনেকদিন ধরে জনগণকে ধোকা দিয়ে অপচিকিৎসা চালিয়ে আসছে। এ ঘটনা নিয়ে বাড়ির অন্য পরিবার গুলোর সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধ নিস্পত্তির জন্য বামনা থানার ওসি ওই বাড়িতে গিয়ে দুই পক্ষের সামনে এ চিকিৎসা বন্ধের নির্দেশ দেন।

বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন পিপিএম বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share this post

scroll to top