ফুলবাড়ীয়ায় মসজিদের ইমামের বিছানাপত্রে আগুন দিলেন প্রধান শিক্ষক

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মসজিদেও ইমামের বিছানাপত্র আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার রঘুনাথপুর আব্দুস ছোবহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উসমান গণির মেয়ের সাথে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) মসজিদের ইমাম শহিদুল্লাহর ছেলের বিবাহ হয়। বিবাহ বন্ধনটি ছেলে মেয়ে উভয়ের পছন্দে।

প্রধান শিক্ষক উসমান গণি তার নতুন বিয়াই রঘুনাথপুর মাস্টারবাড়ি বাইতুন আমান জামে মসজিদের ইমাম শহিদুল্লাহকে গত শুক্রবার জুমআর নামাজের পর লাঞ্ছিত করেন। এক পর্যায়ে মসজিদের পার্শ্বে থাকা ইমামের বডিনপত্র (বিছানাপত্র) মসজিদের সামনে এনে জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এতে মসজিদের মুসল্লীরা প্রতিবাদী হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুসুল্লী জানান, এ ঘটনায় আমরা বেশ মর্মাহত। আমার প্রধান শিক্ষকের বিচার চাই।

স্থানীয়রা জানান, বদ মেজাজী প্রধান শিক্ষক উসমান গণি সরকারীভাবে স্কুলে দেয়া বিস্কুট লুটপাটের সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে। ধরাপড়া বিস্কুট পানিতে ফেলে ঘটনা ধামা চাপা দেন।

মসজিদের ইমাম শহিদুল্লাহ জানান, আমি শুক্রবারের পর থেকে মসজিদে নামাজ পড়াতে যাইনা। কেন যাননা জানতে চাইলে তিনি নীরবতা পালন করে মোবাইল কেটে দেন।

বিষয়টি স্বীকার করে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক আঃ রহমান জানান, আসলে মনের ক্ষোভে প্রধান শিক্ষক উসমান গনি যে কাজ করেছেন তা ঠিক হয়নি।

Share this post

scroll to top