ফুলবাড়ীয়ায় ফিশারীতে পোল্ট্রির বিষ্টায় মরছে মাছ: দিশেহারা মৎস্য চাষী

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কুশমাইল ইউনিয়নের টেকিপাড়া গ্রামে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই গড়ে তোলা পোল্টি (লেয়ার) খামারের বিষ্টায় (বর্জ্য) মরছে ফিশারীর মাছ। লোকসানের মুখে ফিশারী মালিক আনোয়ারুল আজিম আকন্দ ইমরান এখন দিশেহারা। গত বছর তার ফিশারীতে মরে গিয়ে ছিল ১৭ লক্ষ টাকার মাছ। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেও আজ পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাননি বলে তিনি জানান।

উপজেলার টেকিপাড়া গ্রামের আনোয়ারুল আজিম আকন্দ ইমরানের ১০ একর ফিশারীর পাড়ে ২ বছর আগে সাড়ে ৫ হাজারের মুরগীর লেয়ার ফার্ম স্থাপন করেন জহিরুল ইসলাম রতন। ২০২১ সালের মার্চ মাসে মুরগীর ফার্মের বিষ্টায় ইমরানের ১০ একর জমিতে চাষ করা ১৭ লক্ষ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে তোলা মুরগীর ফার্মের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিকার চেয়ে ইরমান অভিযোগ দায়ের করেন। ঐ সময় উপজেলা প্রানি সম্পদ অফিস থেকে উপসহকারী দুলাল নিজে সরেজমিমন পরিদর্শন করে মুরগীর খামারে বায়োগ্যাস স্থাপনের জন্য বলে আসে। আজ পর্যন্ত ঐ মুরগীর খামারে বায়োগ্যাস স্থাপন করা হয়নি।

ফিশারী মালিক ইমরান মুরগীর খামারের বিষ্টা থেকে মাছ রক্ষার জন্য মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মান করে দিলেও বর্ষায় বাঁধ ভেঙ্গে ১৫ দিন ধরে মুরগীর বিষ্টা ফিশারীতে প্রবেশ করে প্রতিদিন মাছ মরছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ টাকার মাছ মরে গেছে বলে জানান ফিশারী মালিক ইমরান।

স্থানীয় আবুল হোসেন জানান, মুরগীর খামারের মালিক রতনের পিতা সিরাজুল হক পুলিশের দারাগো। রতন পুলিশে দাপট দেখান যে কারনের সে কারু কথা শুনেন না। মুরগীর খামারের গন্ধের কারনে আমরা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারি না।
মুরগীর খামারের মালিক রতনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

ফিশারী মালিক ইমরান জানান. গত বছর মার্চে ১৭ লক্ষ টাকার মাছ মরে গিয়ে ছিল। প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রতিকার পাইনি। এবার ১৫ দিন ধরে বাঁধ ভেঙ্গে মুরগীর বিষ্টা ফিশারীতে প্রবেশ করে মাছ মরছে। আমি এর একটা স্থায়ী সমাধান চাই।

ফুলবাড়ীয়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন,“আমরা তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে জমা দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান ঐ কর্মকর্তা”।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদুল করিম জানান, আমি প্রশিক্ষণে থাকায় ঐ সময় ব্যবস্থা নিতে পারি না। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে গড়ে তোলা মুরগীর খামারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে জানান তিনি।

Share this post

scroll to top