ফুলবাড়ীয়ায় টিসিবির কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নে টিসিবির কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয় ১৪শ টি। প্রতি মেম্বারকে চেয়ারম্যান দিয়েছেন ১০ টি করে কার্ড।

বিতরণের আগে কার্ড বিতরণ না করায় হয়রানির শিকার হয়েছেন কার্ডধারীরা। ইউনিয়ন পরিষদ ইউনিয়নের এক পাশে হওয়ার পরও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টিসিবি কার্ডের মালামাল বিতরণ করায় হয়ারনির শিকার হয়েছেন কার্ডধারীরা।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিতরণ করা হয় টিসিবি পন্য।

সরেজমিন ইউনিয়ন পরিষদ গিয়ে দেখা গেছে, টিসিবির পন্য বিতরণ স্থানে কার্ডারীর সংখ্যা কম। ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে কার্ডধারীদের জটলা। তিনটি স্থান থেকে বিতরণ করা হচ্ছে কার্ড। কেউ পাচ্ছেন আবার কেউ কার্ড ছাড়াই বাড়ী ফিরছেন। আগে সময় পাওয়া যায় নাই বলে কার্ড বিতরণ করা হয়নি বলে জানান বহিরাগত এক বিতরণকারী। শত শত মানুষের ভীড়ে কোলের শিশু নিয়ে এসেছেন। তারাও কার্ড খোজছেন। প্রচন্ড গরমে ঘেঁমে কাহিল শিশুরা।

ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জটলা বেধে বসে আসে ২ নং ওয়ার্ডের ৮ মহিলা। চেয়ারম্যানের দালাল অলি তাদের কাছ থেকে ৫শ করে টাকা নিয়েছেন কার্ড দিবেন বলে। কিন্তু তারা কার্ড পাচ্ছেন না দালাল অলিকে আর খোজে পাচ্ছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮ মহিলা জানান, আগে কার্ড বিতরণ করা হয়নি এখন কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে।

২ নং ওয়ার্ড মেম্বার নাজমুল হক জানান, আমাদেরকে ১০ টা করে কার্ড দেয়া হয়েছে। বাকী কার্ড চেয়ারম্যানের কাছে রয়ে গেছে।

৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার আ: মান্নান জানান, তার বাড়ী ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে। আগে আমাদেরকে কার্ড না দেয়ায় আজকে (বিতরণের দিন) কার্ড বিতরণ করছি। বাকী কার্ড কোথায় আছে চেয়ারম্যান ভাল বলতে পারবেন।
মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন জানান, এ ইউনিয়নে ৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৬ টি টিসিবি কার্ড দেয়া হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় ট্রাক থেকে টিসিবির পন্য বিতরণ কার্যক্রম করছেন আল আমিন এন্টারপ্রাইজ নামের এক টিসিবির ডিলার। বেশির ভাগ ছনি নেই। নেই ওয়ার্ড নাম্বার। জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বারও নেই। মুখ দেখে টিকিবি পন্য বিতরণ চলছে।

বিতরণ স্থলে কথা হয় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ও ট্যাক অফিসার আনোয়ার হোসেনের সাথে, তিনি অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, আমাদের কি আর করার আছে। কার্ডে ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার ও ওয়ার্ড নাম্বার লিখবেন ইউনিয়ন সংশ্লিষ্টরা।

পাশেই দাড়ানো চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া শিমুল জানান, আমরা সময় পাই নাই পরে ছবিসহ কার্ড ঠিক করা বলেই স্থান ত্যাগ করেন।

Share this post

scroll to top