প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে

বিশ্বের ১২৬টি দেশে ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে ২৫০ কোটির অধিক মানুষ, অর্থাৎ পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের মধ্যে ১০টি দেশেই ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে, এসব দেশে প্রায় ৫২ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজিত এক এ্যাডভোকেসি সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) সার্ভিলেন্স মেডিক্যাল অফিসার ডা. খাদিজা সুলতানা এ তথ্য জানান।তিনি আরো বলেন, গত আগস্ট মাসে দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। সারা দেশে এ এক মাসেই প্রায় ৫৩ হাজার রোগী ভর্তির রেকর্ড করা হয়, যার অধিকাংশই ছিলো রাজধানীতে। জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এ তিন মাসে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব সর্বাধিক ছিলো এবং ধারণা করা হচ্ছে, এবছরও একই সময়ে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে।

ডিএনসিসির মহাখালী আঞ্চলিক কার্যালয় সংলগ্ন মার্কেটে এডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে এ সচেতনতামূলক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। মূলত এ অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে অবহিতকরণের মাধ্যমে এডিস মশা এবং ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমে সকলের অংশগ্রহণের উদ্দেশে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় এডিস মশার উৎপত্তিস্থল, বংশবিস্তার, রোগ-জীবাণু বহন, মানুষকে আক্রান্ত করাসহ বিশ্বে ডেঙ্গু রোগের সামগ্রিক চিত্র ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ডা. খাদিজা সুলতানা।

অ্যাডভোকেসি সভায় এডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির বিভিন্ন কার্যক্রম পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন ডিএনসিসির উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্ণেল মোঃ গোলাম মোস্তফা সারওয়ার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, আমরা গত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। আমরা এখন জানি কোথায় এডিস মশা বংশবিস্তার করে, কোথায় এদের ঘনত্ব বেশি, কোন বয়সের মানুষ বেশি আক্রান্ত হয় ইত্যাদি। তাই এসব তথ্য-উপাত্ত কাজে লাগিয়ে আমরা বছরের শুরু থেকেই পুরোদমে কাজে নেমেছি।

সভায় ডিএনসিসির অঞ্চল ৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিয়াকত আলী, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সফিউল্লাহ, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুর, ৩৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৈমুর রেজা, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৮ এর কাউন্সিলর মিতু আক্তার, বিভিন্ন আবাসিক এলাকা ও সোসাইটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মসজিদের ইমামগণ, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

Share this post

scroll to top