প্রথমবার ইংল্যান্ডের মাঠে কটুক্তি পাইনি: ওয়ার্নার

জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি নেই সাধারণ দর্শকদের। করোনার কারণে রুদ্ধদ্বার ক্রিকেট খেলছে একাধিক দল।

ইংল্যান্ড সবার আগে নিজের দেশে ফেরায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড ও পাকিস্তানের পর তাদের আতিথেয়তা নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। ফাঁকা স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ম্যাচ মানে এক প্রকার ‘নিরামিষ’। তবে এ নিস্তব্ধতাও কারো জন্য পোয়াবারো।

ডেভিড ওয়ার্নারের কথাই চিন্তা করুণ। ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলা মানে তার জন্য বাড়তি চাপ। দর্শকরা কটুক্তিতে নাজেহাল করে ছাড়েন ওয়ার্নারকে। এবারের সফরে নেই সেই সুযোগ। মাঠে দর্শক না থাকায় চাপমুক্ত অসি ওপনার। সাথে জানিয়ে রাখলেন, এমন পরিবেশই তিনি পছন্দ করেন।

শুক্রবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ২ রানে হেরে যায় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের দেওয়া সহজ লক্ষ্য তাড়া করে জিততে পারেনি অসিরা। ম্যাচ শেষে ওয়ার্নার বলেন, ‘এই প্রথমবার আমি এখানে এসেছি এবং কোনো কটুক্তি শুনিনি। নয়তো ইংলিশ দর্শকরা সব সময় কটুক্তি করতে থাকে। এটা অবশ্যই ভালো দিক।’

৩৮ বছর বয়সি এ ওপেনার আরো বলেন, ‘দর্শকদের দিক থেকে বিবেচনা করলে এটা অবশ্যই হতাশার। তারা খেলা দেখতে পারছে না। মাঠে দর্শক থাকা, না থাকা ম্যাচে অনেক প্রভাব রাখে। দেশে ও বাইরে খেলার ভেতরে পার্থক্য থাকে। দেশে আপনি সুবিধা পাবেন। বাইরে পাবেন না।’

দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পেরে খুশি ওয়ার্নার। তার ভাষ্য, ‘আমরা সব সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে মুখিয়ে থাকি। দীর্ঘদিন পর মাঠে নেমেছি এটা অবশ্যই ইতিবাচক দিক। তবে ম্যাচটি জিততে পারলে অবশ্যই ভালো লাগত। ইংল্যান্ড দারুণ বোলিং করেছে। প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ম্যাচে তারা আমাদের হারিয়েছে।’

Share this post

scroll to top