‘পুলিশ সদস্যরা অপেশাদার আচরণ করলে ব্যবস্থা নেয়া হয়’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, পুলিশ সদস্যরা জানেন তাদের কেমন আচরণ করতে হবে। তারা সচেতন। তাদের প্রশিক্ষণই দেয়া হয়। শাস্তির ব্যবস্থাও নেয়া হয়।

তিনি বলেন, যে পুলিশ সদস্য তরুণীর সঙ্গে অপেশাদার আচরণের ভিডিও ভাইরাল করেছিলেন, তিনি ভেবেছিলেন তার সুনাম হবে। এতে যে সুনাম হবে না, তা বোঝার ক্ষমতাও তার নেই।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

শতচেষ্টা করেও যানজট ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে পারছেন না জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এর পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। আর তাই তৃতীয়বারের মতো রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ পালন শুরু হয়েছে।

গতকাল বুধবার শুরু হয়ে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে এ ট্রাফিক সপ্তাহ। তিনি বলেন, তবে ট্রাফিক সপ্তাহের মূল কাজ হবে ফুটওভার ব্রিজ ও জ্রেবা ক্রসিং ব্যবহার নিশ্চিত করা, বাস নিয়ন্ত্রণ, যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠানামা বন্ধ ও নির্ধারিত বাস স্টপিজগুলোতে যাতে বাসগুলো থামে সে ব্যবস্থা করা।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, গাড়ির কাগজপত্র ঠিক রাখুন, চুক্তিভিত্তিক গাড়ি যেন না দেয়া হয় সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় ২১৬ জন বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও রোভার স্কাউটসের ছেলেমেয়েরা ট্রাফিক শৃঙ্খলায় সহায়তা করবে বলে জানান তিনি।

তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের আচরণ কেমন হবে, সেই সম্পর্কে তাদের প্রশিক্ষণ কী?— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের মধ্যে পেশাদারি মনোভাব অনেক বেড়েছে। আগে যেখানে প্রতিদিনই অভিযোগ পাওয়া যেত, এখন তা অনেক কম। আগের তুলনায় ৫ শতাংশ অভিযোগও পাওয়া যায় না।

এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, নির্বাচন কেন্দ্র করে কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কারণ নেই। যারা জনশৃঙ্খলা নষ্ট, জননিরাপত্তা বিঘ্ন করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মানুষ ট্রাফিক আইন মানে না। তাই আগেও ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করা হলেও কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া যায়নি।

এ সময় চেকপোস্টে পুলিশের আচরণ প্রসঙ্গে মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, চেকপোস্টে পুলিশের আচরণের অনেক পরিবর্ত হয়েছে। আগে আমরা রোজ অভিযোগ পেতাম। এখন মাস গেলেও পাই না।

তিনি বলেন, কিছু দিন আগে ট্রাফিক সিগন্যালে এক নারীর ভিডিও ভাইরাল হয়। আপনারা দেখেছেন কীভাবে পুলিশ সদস্যরা বিনীতভাবে তাকে ট্রাফিক আইন মানতে অনুরোধ করছেন।

গত ২২ অক্টোবর ঢাকার রাস্তায় গভীর রাতে পুলিশের চৌকিতে তল্লাশির নামে এক নারী হেনস্তার শিকার হন। ওই নারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে দেয়া হয়। ভিডিওটি যিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন, তিনি নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের একজন কনিষ্ঠ কর্মকর্তা বলেও পরিচয় দেন।

এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কেউ অপেশাদার আচরণ করলে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top