নেত্রকোণায় বিষ দিয়ে ১২ লাখ মাছ নিধনের অভিযোগ

সাজ্জাতুল ইসলাম সাজ্জাত : নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় ব্যক্তি মালিকাধীন একটি জলাশয়ে দুবৃর্ত্তরা বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনা কলমাকান্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

গত সোমবার মধ্য রাতে উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের ধোবা বিলের একটি জলশয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিষ ক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন দেশীয় প্রজাতির মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠছে। ওই মরা মাছ খেয়ে মারা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি।
স্থানীয়রা জানান, জলাশয়ের কাছে গেলেই বাতাসের সাথে পচা মাছের গন্ধ আর বিষের গন্ধ ভেসে আসছে। এতে এলাকার লোকজন আতঙ্কিত।

এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাপানিয়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে মো: লুৎফর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তি মালিকাধীন ধোবা বিলের ১২ একর জলাশয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছেন। এতে প্রাকৃতিক ও চাষকৃত মাছ জমা ছিল। স্থানীয় প্রতিবেশী আবুল কাসেম,কান্দুর মিয়া,ও রুবেল মিয়া গং প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভাবে তার মাছ চাষে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করতো। ঘটনার তিনদিন আগে জলাশয়ের মাছ ধরার জন্য একটি বাধ নির্মাণ করলে আবুল কাসেম,কান্দুর মিয়া,ও রুবেল মিয়া গংরা বাধা প্রদান করেন। এতে দু’পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডা তৈরী হলে স্থানীয়রা মিমাংশা করে দেন। অবশেষে ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার রাতে আবুল কাসেম,কান্দুর মিয়া,ও রুবেল মিয়া সহ একদল দৃবুর্ত্ত জলাশয়ে বিষ দিয়ে পালানোর সময় পাহাড়াদার তাদের ধাওয়া করে। অস্ত্রের মুখে পাহাড়াদারকে জিম্মি করে দুবৃর্ত্তরা পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকাল ভোর থেকে জলাশয়ে চাষকৃত রুই, বোয়াল, মৃগেল, কাতলা, তেলাপিয়া, কার্পু, পুটি, টেংরা, শৌল, কই, শিং-মাগুর সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভাসতে শুরু করে।

মো: লুৎফর রহমান জানান, কিছু দিনের মধ্যেই মাছগুলো ধরে বিক্রি করা হতো। এতে এলাকার মাছের চাহিদা মিটিয়ে বাহিরেও রপ্তানি করা সম্ভব হতো। তিনি আরো জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও রহস্যজনক কারণে ঘটনার ৫দিন অতিবাহিত হলেও মামলা রজ্জু হয়নি। অপর দিকে আসামী পক্ষ আমাদের অব্যাহত হুমকী দিচ্ছে।

কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, এ ঘটনায় লুৎফর রহমান বাদি হয়ে আবুল কাসেম,কান্দুর মিয়া,ও রুবেল মিয়া গংদের আসামী করে থানায় একটি অফিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি তদন্তাধীন।

Share this post

scroll to top