নেত্রকোণায় নিজস্ব অর্থায়নে ৯ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান

নেত্রকোনা সংবাদদাতা : সরকারী পর্যায়ে সড়ক নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণের ক্ষেত্রে নয় ছয় থেকে যখন বেরিয়ে আসতে পারছে না ঠিক সেই সময় নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কৃতী ফুটবলার তরুণ চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রাজু তার নিজস্ব অর্থায়নে ৯কিলোমিটার ১৬ফুট প্রশস্থ কাঁচা সড়ক নির্মাণ করে এক বিরণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
বারহাট্টা উপজেলার অবহেলিত ইউনিয়ন রায়পুর। মোট জনসংখ্যা ৪৫ হাজার। ওয়ার্ড রয়েছে ৯টি তবে ৪,৫,৬নং ওয়ার্ডে জনসংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। স্বাধীনতা সংগ্রামের পর থেকে কুড়ালদেও, গাইকান্দা, মেন্দাগাতি, শ্যামকুনিবাজার গ্রামগুলোর লোকজন উপজেলা সদরে আসলে ক্ষেতের আইল ধরে পায়ে হেঁটে আসতে হয়। জনগণের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বর্তমান চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রাজু ঐ এলাকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তেলসিন্দুর মাদ্রাসা থেকে কুড়ালদেওগাই কুড়িপর পর্যন্ত, মোল্লাগাতি থেকে শ্যামকুনিবাজার এবং তেলসিন্দুর বাজার থেকে ফকিরের বাজার দধকুড়া রাস্তা পর্যন্ত প্রায় ৯কিলোমিটার কাঁচা সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। চেয়ারম্যান রাজু উক্ত এলাকার হাজার হাজার লোকজন নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে উক্ত সড়ক গুলোর প্রায় ৬০ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে এলাকার জনগণ মনের আনন্দে নারী এবং পুরুষ সম্মিলিত ভাবে সড়কের কাজ করে যাচ্ছে ১৬ ফুট প্রশস্থ সড়কে গাছ,
বাঁশ বাগান কেটে রাস্তা নির্মাণে সহযোগিতা করছেন।

শিক্ষক আব্দুল হাই জানান, ২২ বছর যাবৎ মাদ্রাসায় চাকুরী করেছি উপজেলা সদর থেকে প্রতিদিন পায়ে হেঁটে মাদ্রাসায় আসতে হয়।
আওয়ামীলীগ নেতা শেখ সেকুল জানান, চেয়ারম্যান রাজু জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে নিজস্ব অর্থায়নে এলাকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কয়েক মাস যাবৎ দিনরাত পরিশ্রম কওে সড়কের কাজ করে যাচ্ছেন। সড়কটি নির্মাণ হলে এলাকার কৃষক তাদের কৃষিপণ্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন।
চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রাজু জানান, এলাকার ২৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সরকারী অনুদানের অপেক্ষা না করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ৯ কিলোমিটার নতুন সড়কের কাজ শুরু করি। ইতিমধ্যে ৭০ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। জনগণ সঙ্গে থাকলে যে কোন বড় কাজ সহজে করা যায়।
তিনি আরো জানান ড্রেজারসহ আমার নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ সড়ক নির্মাণের ফলে এলাকার মানুষের প্রাণের কিছুটা হলেও পূরণ করতে পারছি।

Share this post

scroll to top