নাড়ির টান ছেড়ে ময়মনসিংহ থেকে কাজের টানে ঢাকায় ফিরছেন লাখো মানুষ

Truckঈদ-উল-ফিতরের আজ তৃতীয় দিন, ছুটিও শেষ। নাড়ির টানে ময়মনসিংহের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ফিরে আসা মানুষ পুনরায় কাজের টানে রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। তবে দূর পাল্লার বাসগুলো বন্ধ থাকায় কর্মজীবি এসব মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

ময়মনসিংহ থেকে কেউ মোটরসাইকেলে করে, কেউ জেলা কেন্দ্রীক গণপরিবহনে ভেঙে ভেঙে, কেউবা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ভাড়া করে, কেউ ট্রাকে চড়ে আবার কেউ মিনি পিকআপে করে ঢাকামুখী হয়েছেন। এসব কর্মজীবি মানুষের মতে, ছুটি শেষে তারা নিজেদের রুটি-রুজি ও কাজের তাগিদে সবাই ঢাকায় ফিরে যাচ্ছেন।

রোববার (১৬ মে) সকাল থেকে ময়মনসিংহ শহরের শম্ভগঞ্জের পাটগুদাম বাসস্ট্যান্ড, মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

আন্তঃজেলা গণপরিবহনের চলাচল বন্ধ থাকার কারণে অনেকেই মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি আসছিলেন। অনেক মানুষকে দেখা গেছে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে করে ফিরতে। এদিকে ফাঁকা ময়মনসিংহ সড়ক দিয়ে আসা ফিরতি মানুষদের টঙ্গী থেকে হেটে আব্দুল্লাহপুর যেতে হচ্ছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। তারা আব্দুল্লাহপুর থেকে আবার অন্য যানবাহনে করে ঢাকার বাসায় ফিরছেন।

মোটরসাইকেল চালক ইসতিয়াখ বলেন, বাস চলে না তাতে কি!! নিজের মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলাম। এখন রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা, চালাতেও ভালো লেগেছে। তাই মোটর সাইকেলে করে ঢাকায় ফিরে যাচ্ছি। আগামী কাল থেকে অফিস শুরু করবো।

তবে ইশতিয়াখের মত অনেকেই এবার ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেলে করে ঢাকার বাইরে গিয়েছিলেন। যারা মোটরসাইকেলে করেই আবার ঢাকামুখী হচ্ছেন।

এদিকে অনেকেই ভালুকা থেকে মিনি পিকআপ ও টেম্পো করে করে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত গেছেন। সেখান থেকে একটি বাসে চড়ে টঙ্গী স্টেশনরোড পর্যন্ত এরপর পায়ে হেটে আব্দুল্লাপুর পর্যন্ত গেছেন বলে জানা গেছে। এনিয়ে অনেকেই চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখন আমাদের ঢাকায় ফিরতেও কষ্ট হচ্ছে। যদি গণপরিবহন খোলা থাকতো তবে এত কষ্ট হতো না। আর বন্ধ রেখেও কোনো লাভ হয়নি।

Share this post

scroll to top