নারায়ণগঞ্জ ট্রাজেডি : মারা গেলেন গফরগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শেখ ফরিদ

নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ হারালেন শেখ ফরিদপরিবারের স্বপ্ন ছিলো লেখাপড়া শেষে চাকরি করে সংসারের হাল ধরবে ছেলেটি। স্বপ্ন পূরণে চাকরিও নিয়েছিলেন ছয় মাস আগে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ হারালেন পাকুন্দিয়ার শেখ ফরিদ। তাঁর সঙ্গে পরিবারের স্বচ্ছলতার স্বপ্নও পুড়ে হলো ছাই। ময়মনসিংহের গফরগাঁও সরকারি কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন শেখ ফরিদ। সংসারের অভাব-অনটনের কারণেই লেখাপড়া শেষ না করেই চাকরি নিয়ে আয়ের পথ তৈরি করছিলেন তিনি। তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করতেন ফরিদ।

নারায়ণগঞ্জের মসজিদে গত শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতের বিস্ফোরণে অন্যদের সঙ্গে দগ্ধ হন শেখ ফরিদ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারী ইন্সটিটিউটে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান তিনি। ওই দিন রাত ১১টায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার আলগীর চর গ্রামের বাড়িতে তাঁর লাশ আনা হয়। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।

জানা গেছে, উপজেলার আলগীর চর গ্রামের এমদাদুল হকের পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় ছিলেন শেখ ফরিদ। ছয় মাস আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জের তল্লা এলাকায় মসজিদের পাশেই ভাড়া বাসায় থাকতেন।

ফরিদের বন্ধু ফিরোজ আশরাফ শান্ত বলেন, সংসারে একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন তিনি। তাঁর অকাল মৃত্যুতে পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।

শেখ ফরিদের দরিদ্র বাবা বলেন, পরিবারের স্বপ্ন ছিলো চাকরি করে সংসারের হাল ধরবে ছেলেটি। কিন্তু সব স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে গেল আমার। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল সবকিছু।

Share this post

scroll to top