নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে নোবেলের স্ট্যাটাস

টেলিভিশন রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা-২০১৯’ খ্যাত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল।

সংগীত ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সমালোচনার জন্ম দিয়ে আসছেন এই কণ্ঠশিল্পী। এবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।

স্ট্যাটাসে নোবেল লিখেন—স্ক্যান্ডাল আমার হবে না তো হবে কার? চায়ের দোকানদার নরেন্দ্র মোদির? কে দেখবে চা-ওয়ালার স্ক্যান্ডাল? অন্যদিকে আমাকে নগ্ন দেখার মধ্যে তো বিরাট তৃপ্তি তাইনা? নাহলে কি স্ক্যান্ডাল এত ভাইরাল হয়?

স্ট্যাটাস দেওয়ার পর থেকে নানারকম মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন— আপনে তো মহান। আপনার টয়লেটের পিক দেখার জন্যও লোকে অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে। আপনাকে আমার স্যালুট। জয় নোবেল বাবাজির জয়। আরেকজন লিখেছেন—এই নোবেলের গান জীবনেও শুনিনি। আজ এর কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে, থার্ড ক্লাস শিল্পী হওয়ার যোগ্যতাও তার নাই। ভাই, নোবেল রানু মন্ডল আপনার চেয়ে বড় মাপের শিল্পী।

গত মঙ্গলবার দেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিকে প্রায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন নোবেল। তার দাবি গত ১০ বছরে এই দেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়াতেই পারেনি। নিজের ফেসবুক পেজে নোবেল লিখেছিলেন—‌বাংলাদেশে তো গত ১০ বছরে ভালো করে কেউ মিউজিকই করেনি। দাঁড়াও তোমার লেজেন্ডদের না হয় আমিই শিখাবো, কীভাবে ২০২০ সালে মিউজিক করতে হয়।

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর নোবেল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে ‘দেশ’ শিরোনামে একটি গান প্রকাশ করেন। গানটির কথা ও সুর নিজের বলে দাবি করেন। এরপর নোবেলের বিরুদ্ধে এই গান চুরির অভিযোগ তুলেন ব্যান্ডদল ‘অ্যাবাউট ডার্ক’।

২০১৮ সালেও নোবেল এই গানটি নিজের দাবি করে প্রকাশ করেছিল। তখন সমালোচনার মুখে পড়ে গানটি সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে নোবেল ক্ষমা চেয়েছিল বলেও জানান ‘অ্যাবাউট ডার্ক’ ব্যান্ডের সদস্য পূর্ণ।

Share this post

scroll to top