ধোবাউড়ায় ৭ ইউনিয়নের ৬টিতেই নৌকার পরাজয়

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬টিতেই চেয়ারম্যান পদে নৌকার মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা হেরে গেছেন। উপজেলার নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, কেবল ধোবাউড়া সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মুকুল নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

বাকি ৬টির কোনোটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হতে পারেনি। ৩টি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীরা অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গে ভোট প্রতিযোগিতায় টিকতেই পারেননি। এর মধ্যে গামারীতলা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান ভোট পেয়েছেন মাত্র ১৫৬টি, ঘোষগাঁও ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মো. শামসুল হক পেয়েছেন মাত্র ৩৯২ ভোট ও গোয়াতলা ইউনিয়নের আলমগীর হোসেন পেয়েছেন ৩৭৬ ভোট।

গামারীতলায় মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ২৪৮৭ ভোট পেয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান দ্বিতীয়বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ঘোষগাঁও ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৫৯২৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরহাদ আল রাজি আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৮৯২ ভোট।

গোয়াতলা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে ৫৭০১ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাকিরুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান শামছুর রশীদ মজনু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়ছেন ৪৭৮৫ ভোট।

দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন কবির সরকার ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৮৪৭৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীক নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান গাজিউর রহমান পেয়েছেন ৫০৩৮ ভোট।

পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মনজুরুল হক মঞ্জু চশমা প্রতীক নিয়ে ৪৫২২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীক নিয়ে রিপন তালুকদার পেয়েছেন ৪২৬৯ ভোট।

বাঘবেড় ইউনিয়নে স্থগিত হওয়া ১ কেন্দ্র ছাড়া বাকি ৮ কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন মামুন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৫৩২৬ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিক তালুকদার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৪৫৪৪ ভোট পেয়েছেন। স্থগিত কেন্দ্রের মোট ভোট সংখ্যা ৩০৭২।

স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, নৌকা প্রতীকের এই হারের পেছনে দায়ী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাণিজ্য।

তাদের দাবি, কোনো ইউনিয়নেই যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয়নি। এতে দলের ভেতর থেকেই বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রভাব রেখেছেন।

তবে এ দাবি অস্বীকার করেছেন ধোবাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল। তিনি বলেন, দলীয় কোন্দলের কারণে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।

মনোনয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী সিলেকশনে কোনো ভুল ছিল না।’

Share this post

scroll to top